Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে শুরু হলো বৈসাবি উৎসব


ইউএনভি ডেস্ক:

কাপ্তাই হ্রদের জলে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে শুরু হলো বৈসাবি উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বৃহত্তম এই সামাজিক আয়োজনে ব্যস্ত এখন শহর, নগর আর পাহাড়ি পল্লীগুলো। চারিদিকে আনন্দের সুর লহরী আর বৈসাবি আয়োজন।

২৯ চৈত্র শুক্রবার চাকমা জনগোষ্ঠীর ‘ফুল বিজু’, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ‘হাঁড়িবসু’ আর মারমা সম্প্রদায়ে ‘সূচিকাজ’। ঠিক ফুলবিজু নামে অভিহিত না হলেও এইদিন প্রায় সকল পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠী পানিতে ফুল ভাসিয়ে দেয়।

এদিকে ফুলবিজু উপলক্ষে রাঙ্গামাটি শহরের রাজবাড়ীঘাটে চাকমা জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে পানিতে ফুল ভাসানো হয় আর গর্জনতলী এলাকায় পানিতে ফুল ভাসায় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে তাদের গঙ্গাদেবীর উদ্দেশে ফুল ভাসানোর মধ্যে দিয়ে এদিন শুরু হয় বৈসাবি উৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

উৎসবপ্রিয় পাহাড়িরা সারাবছর মেতে থাকেন নানান অনুষ্ঠানে। তবে তার সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় বর্ষবিদায়ের এই উৎসব। চাকমারা বিজু, ত্রিপুরা বৈসুক, মারমারা সংগ্রাই, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, অহমিয়ারা বিহু এভাবে তারা ভিন্ন ভিন্ন নামে আলাদাভাবে পালন করে এই উৎসব।

উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে সেই ফুল দিয়ে ঘর সাজায়। পবিত্র এই ফুল ভাসিয়ে দেয় পানিতে। তাই একে বলা হয় ফুল বিজু।

পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরনো বছরের দুঃখ বেদনা ভাসিয়ে দিয়ে নতুন দিনের সম্ভাবনার আলো জ্বালায় পাহাড়ের মানুষ। পানিতে ফুল ভাসিয়ে পুরোনো দিনের বেদনা ভুলে নতুন দিনের প্রত্যয়ের কথা জানায় ফুল ভাসাতে আসা পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা। পানিতে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে তারা গঙ্গা মাকে শ্রদ্ধা জানায়।


Exit mobile version