কেনার পর থেকেই গুদামে পড়ে আছে পুঠিয়া পৌরসভার ফগার


আবু হাসাদ,কামাল, পুঠিয়া  :
রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভা এলাকায় কখনোই মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করে নি কর্তৃপক্ষ। মেশিন কেনা হয়েছে। অথচ সে মেশিন পড়ে আছে গুদামে।  প্রতিবছর বাজেটে মশা নিধনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় কিন্তু কাজ হয় না।

জানাগেছে, গত ২০০১ সালে পুঠিয়া সদর ও জিউপাড়া ইউনিয়নের অংশ বিশেষ নিয়ে পুঠিয়া পৌরসভা গঠন করা হয়। পৌরবাসীদের নাগরিক সুবিধার্থে নিয়মিত এলাকা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, সড়ক বাতি, পানি নিস্কাশন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও মশা নিধন কার্যক্রম অব্যহত রাখার নিয়ম রয়েছে। সে মোতাবেক গত ১৬ বছর পূর্বে পৌরসভা প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দু’টি মশা নিধন যন্ত্র ক্রয় করেছিল। ক্রয়ের পর থেকে সে যন্ত্র আর ব্যবহার হয় নি। ফলে অবহেলায় গুদাম ঘরেই পড়ে আছে।

স্থানীয়রা জানান, পৌরসভা গঠনের জন্মলগ্ন থেকে আইনী জটিলতার কারণে দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর সকল কার্যক্রম প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে ছিল। গত প্রায় সাড়ে তিন বছর থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি (মেয়র) দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ এখনো পর্যন্ত পৌরবাসী একদিনের জন্যও মশা নিধন সুবিধা পায় নি বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব ক্রমেই বেড়ে গেছে।

পৌরসভার বাসিন্দা  আব্দুস সালাম, রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়মিত পৌরকর দিয়েও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। এ যাবত পর্যন্ত আমাদের এলাকায় কখনও মশা মারার কার্যক্রম চালায়নি পৌরসভা। শুধুমাত্র রাস্তার কয়েকটি স্থানে আলোকবাতি লাগিয়ে নাগরিক সেবা দেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পৌর কাউন্সিলর বলেন, মশা নিধনের জন্য দু’টি আধুনিক যন্ত্র রয়েছে আমাদের। সে যন্ত্র ক্রয়ের পর মশা নিধন কার্যক্রম না করায় যন্ত্র দু’টি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অথচ প্রতিবছর পৌরসভা বাজেটে মশা নিধনের টাকা বরাদ্দ হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র রবিউল ইসলাম রবি বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছি। বিভিন্ন নর্দমা-নালা ও আর্বজনার স্তুপগুলো পরিস্কার করা হচ্ছে। আর দীর্ঘদিন মশা নিধন যন্ত্রটি ব্যবহার না থাকায় তা নষ্ট হয়ে যায়। সেটা বর্তমানে আমরা ঠিক করে এনেছি। আজকালের মধ্যে ওষুধ দেয়া শুরু করা হবে।


শর্টলিংকঃ