কেনার পর থেকেই পড়ে আছে হাসপাতালের জেনারেটর


তারেক রহমান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য ২০১৬ সালের জুন মাসে একটি অত্যাধুনিক ১০ কেভি-এ জেনারেটর বরাদ্দ দেয় সরকার। সে সময় ঢাকা হতে একটি টেকনিশিয়ান টিম এসে জেনারেটরটি সচল পরীক্ষার জন্য একবার চালু করে রেখে যান। এর পর তিন বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত আর চালু করা হয়নি। 

হাসপাতালে আসা রোগী  তাদের স্বজনদের অভিযোগ,  বিদ্যুতের ভেলকিবাজি অতিষ্ঠ।  বিদ্যুৎ না থাকলে হাসপাতাল চত্ত্বরে ভুতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এখন ভ্যাপসা গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগী,স্বজন ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের।বাধ্য হয়ে রাতে রোগীরা নিজেই ব্যবস্থা করেন মোমবাতী ও স্বল্প আলোর। আর দিনে হাতপাখাই ভরসা।

মনাকষা ইউনিয়নের আবদুস সাত্তার নামে এক রোগীর আত্মীয় জানান,সম্প্রতি তিনি একজন রোগীর কাছে রাতের বেলা অবস্থান করছিলেন। এসময় হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে যায়। অন্ধকার হয়ে পড়ে পুরো হাসপাতাল। অন্ধকারে টয়লেটে পা পিছলে পড়ে গিয়ে প্রচন্ড জোরে মুখে আঘাত পান।

এমনই অভিযোগ করে আরেক রোগীর স্বজন সাদ্দাম হোসেন বলেন,গত সপ্তাহে সাত বছরের এক শিশুকে ডায়রিয়া হলে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। প্রচন্ড গরমে শিশুটির অবস্থা আরও অবনতি হওয়ায় বাধ্য হয়ে জেলা শহরের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এমন অভিযোগ করেছেন আরও অনেকে।

শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভান্ডার রক্ষক মো.আবদুল্লাহ আল মামুন জানান,২০১৬ সালের ৮ জুন ঢাকার কেন্দ্র ঔষদাগার হতে ১০ কেভি-এ জেনারেটর টি বরাদ্দ দেয়া হয়। তখন হতেই বাক্সবন্দী রয়েছে। এ ছাড়া অপর একটি ছোট জেনারেটর থাকলেও সেটি নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য  ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো.আকতার হোসেন বলেন, হাসপাতালে জুনিয়র একজন টেকনিশিয়ানের পদ শূণ্য রয়েছে। জেনারেটরটি টেকনিশিয়ান ছাড়া চালানো সম্ভব নয়। তবে কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।


শর্টলিংকঃ