Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

কোরবানির গরুর জন্য অপেক্ষা স্পেশাল ট্রেনের


জিয়াউল গনি সেলিম :

স্পেশাল ট্রেন চলাচলের সব প্রস্তুতি শেষ হলেও পরিবহনের জন্য গরু পাচ্ছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে করে ঢাকা ও চট্টগ্রামে কোরবানীর পশু যাওয়ার কথা। কিন্তু উপযুক্ত ওয়াগন না থাকায় খামারীরা সাড়া দিচ্ছেন না। ফলে গরুর জন্য স্পেশাল ট্রেন আদৌ চালু হবে কি না-তা নিয়েই এখনো কাটে নি অনিশ্চয়তা। 

করোনা পরিস্থিতিতে এবার ঈদ উল আযহা উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে ট্রেনে করে কোরবানীর পশু পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়।গেল ৭ জুলাই এমন সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী। কিন্তু পশু পরিবহনের জন্য বিশেষায়িত কোনো ওয়াগনই নেই বাংলাদেশে। তবে পণ্যবাহী ওয়াগনেই গরু পরিবহন করতে চায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এলক্ষ্যে সব প্রস্তুতিই শেষ করেও গরু পাচ্ছে না পরিবহনখাতের  সরকারী এ সংস্থাটি।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ ভূঁইয়া বলছেন, ‘পশু পরিবহনের জন্য আলাদা ওয়াগন নেই রেলের। পণ্যবাহী ওয়াগনেই আমরা গরু পরিবহনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু খামারিরা তাতে সাড়া দিচ্ছেন না। খামারিরা রেল কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন,  তাদের পোষা গরু আদর যত্নে রাখা। কিন্তু হুড়োহুড়ি বা ঠাসাঠাসি করে মালগাড়িতে ওঠানামা করলে গরু জখম বা আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে। তাই তারা রেলে গরু পরিবহন করতে চান না’।

ট্রেনে করে গরু পরিবহনের জন্য প্রশাসনের সাথে কয়েক দফা বৈঠকও করেছেন রেল কর্মকর্তারা। কিন্তু সরকারী ব্যবস্থাপনায় পরিবহন খরচ কম হলেও তাতে খামারীদের পক্ষ হতে সাড়া মিলছে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকও।রেলের গরু পরিবহনের ঘোষণায় প্রথমে খানিকটা  খুশি হয়েছিলেন অনেকেই। তবে নানা সমস্যার কারণে এতে আর আগ্রহ দেখাচ্ছেন না খামারিরা।

রাজশাহীর খামারি আরাফাত রুবেল বলেন, দূরের গ্রামের কেউ রেলে গরু ঢাকায় পাঠাতে চাইলে তাকে ট্রাকে করে স্টেশনে গরু আনতে হবে। এরপর মালগাড়িতে গরু ওঠা-নামা করতে হবে। ঢাকায় স্টেশনে নামিয়ে আবারো ট্রাকে করে হাটে নিতে হবে। তাহলে অহেতুক এই ঝামেলার মধ্যে কেন যাবে খামারিরা!  রেলের এই সিদ্ধান্তের সুফল আসবে না বলেও মনে করেন তিনি।

এদিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক  মিহির কান্তি গুহ জানান, কোন কোন স্টেশন হতে গরু ট্রেনে তোলা হবে বা কোন গন্তব্যের ভাড়া কত পড়বে তাও ঠিক করা হয়েছে। নিশ্চিত করা হয়েছে অবকাঠামোগত সুবিধাও। এখন শুধু গরুর জন্য অপেক্ষা। কিন্তু কোনো স্টেশনেই এখনো গরুর বুকিংয়ের খবর পাওয়া ‍যায় নি।


Exit mobile version