- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

‘কোরবানির মাংস তিন ভাগ করা অপরিহার্য নয়, উত্তম’


কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করা অপরিহার্য নয়, তবে এভাবে করাটা উত্তম— এমনটাই জানিয়েছেন আলেমরা। অভিজ্ঞ আলেমরা বলছেন, হযরত মুহাম্মদ (স.) কে অনুসরণ করে কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া সৌন্দর্যের অংশ। এক্ষেত্রে কেউ চাইলে তিন ভাগ নাও করতে পারেন। তাতে ধর্মীয় দৃষ্টিতে কোনও বাধা নেই।

ইসলামি গবেষণা প্রতিষ্ঠান মারকাযুদ্ দাওয়াহ আল ইসলামিয়ার মাসিক গবেষণাপত্র আল কাউসারে এ বিষয়ে মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া লিখেছেন, ‘মাসআলা: ৪৩. কোরবানির মাংসের এক-তৃতীয়াংশ গরিব-মিসকিনকে এবং এক-তৃতীয়াংশ আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীকে দেওয়া উত্তম। অবশ্য পুরো মাংস যদি নিজে রেখে দেয়, তাতেও কোনও অসুবিধা নেই। -বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪,আলমগীরী ৫/৩০০’

এ বিষয়ে মাওলানা জুনায়েদ আহমাদ ছিদ্দিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কোরবানির মূল উদ্দেশ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স.) কোরবানিরর মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজে রাখতেন, একভাগ আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের দিতেন এবং আরেক ভাগ দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। ফলে এটি একটি তাকওয়া (রক্ষা করে চলা)। তবে কেউ চাইলে নিজে সব মাংস খেতে পারবেন। আবার চাইলে বেশি অংশ দানও করতে পারবেন।’

রাজধানীর আজিমপুর ফয়জুল উলুম মাদ্রাসার হাদিস বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মুফতি লুৎফুর রহমান বলেন, ‘কোরবানির মাংস তিন ভাগে ভাগ করতেই হবে—এমন কোনও শর্ত নেই। যার ইচ্ছা করবেন, ইচ্ছা না করলে সমস্যা নেই। তবে বণ্টন করা রাসুল (স.) এর সুন্নত।’

জরুরি মাসায়েল

কোরবানির মাংস বণ্টনের বিষয়ে মাওলানা মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া লিখেছেন, ‘শরিকে (শরিক হিসেবে) কোরবারি করলে ওজন করে মাংস বণ্টন করতে হবে। অনুমান করে ভাগ করা জায়েজ নয়।-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৭, কাযীখান ৩/৩৫১’