ক্লাবগুলোকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনতে চান প্রতিমন্ত্রী


দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েটি ক্রীড়া ক্লাব ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় খেলাধুলার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে উল্লেখ করে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি ক্লাবগুলোকে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেছেন। গতকাল (শনিবার) বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) আয়োজিত ক্রীড়া সাংবাদিক এবং লেখকদের স্বীকৃতি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেছেন।

কেন ক্লাবগুলোকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চিন্তা-ভাবনা করছেন, সে ব্যাখ্যাও ওই অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে ক্লাবগুলোতে যে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেগুলোর অবসান ঘটিয়ে সুষ্ঠু পরিচালনার জন্যই মূলতঃ তারা এমন চিন্তা-ভাবনা করছেন।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘অনেক বছর ধরেই ক্লাবগুলোতে নৈরাজ্য চলে আসছে। ক্লাবগুলোয় ক্যাসিনো বাণিজ্য হওয়ায় দেশের খেলাধুলার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এর দায়ভার আমরা নিতে পারি না। নিতে হলে এই ক্লাবগুলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে হবে। দেশের যে সব ক্রীড়া ক্লাব লিমিটেড কোম্পানী হয়েছে তারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত। আর অন্য ক্লাবগুলো নিবন্ধিত সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে। অথচ এসব নামে ক্রীড়া ক্লাব।’

আইন পরিবর্তন করে, নানা প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ক্লাবগুলোকে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসার কথা বলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যেহেতু এই ক্রীড়া ক্লাবগুলো আমাদের মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত নয়, তাই আমরা এগুলোর দেখভাল করতে পারি না, করতে পারবোও না। আমি মনে করি, বিদ্যমান আইনটি পরিবর্তন করে ক্লাবগুলো যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা দরকার। অন্তত একটি ধারাও যদি থাকে তাহলে আমরা ক্লাবগুলোকে জবাবদিহীতার অধীনে আনতে পারবো।’

মো. জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ‘দেশের ক্রীড়া ফেডারেশনগুলো আমাদের নিবন্ধিত। ফেডারেশনগুলো ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে দায়বদ্ধ। আমরা ফেডারেশনগুলোকে সহযোগিতা করে থাকি সেগুলো আমাদের অধীনে বলে। ক্রীড়া ক্লাবগুলো আমাদের অধীনে থাকলে সেগুলোকেও সহযোগিতা করতে পারবো।’

ক্লাবগুলোয় ক্যাসিনো বাণিজ্য করে যারা দেশের খেলাধুলার সুনাম নষ্ট করেছে তাদের বিচার হবে উল্লেখ করে দেশের খেলাধুলার এই অভিভাবক বলেছেন, ‘আমরা চাই না কিছু মানুষের জন্য ক্রীড়াঙ্গন কলুষিত হোক। যারা এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার হওয়া উচিত, বিচার হতেই হবে।’

উল্লেখ্য যে, অবৈধ ক্যাসিনো থাকায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রাজধানীর ক্লাব পাড়ায় অভিযান চালিয়েছে। প্রথমে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাব, ঢাকা ওয়ানান্ডারার্স ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র এবং পরে আরামাবাগ ক্রীড়া সংঘ, দিলকুশা স্পোটিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো আস্তানা ভেঙ্গে ফেলে।


শর্টলিংকঃ