খাদ্য অধিদপ্তরে চাকরির প্রলোভনে ৯ লাখ টাকা লোপাট


কাজী কামাল হোসেন,নওগাঁ

খাদ্য অধিদপ্তরের প্রশাসন বিভাগে চাকরি দেয়ার নাম করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন নওগাঁ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জারি কারক (প্রসেস সার্ভে) মোঃ আসাদুল ইসলাম। কয়েক দফায় ৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা দেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গির আলম।

 

 

ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে আসাদুল ইসলামসহ দুইজনের বিরুদ্ধে সোমবার (২৩/০৯/১৯) নওগাঁ ১ নং আমলী আদালতে মামলা করেছেন।

মোঃ আসাদুল ইসলাম মান্দা উপজেলার ভারশোঁ ইউনিয়নের মৃত কাইয়ুম মন্ডলের ছেলে।

ভুক্তভোগী যুবক জাহাঙ্গির আলম দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার বড়গ্রামের আকবর আলীর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, খাদ্য অধিদপ্তরে প্রশাসন বিভাগের আওতাধীন সাইলো অপারেটিভ পদে চাকরির কথা হয়। আসাদুল ইসলাম চাকরি শর্তে জাহাঙ্গির আলমের কাছে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবরে ১৩ লাখ টাকা চুক্তি হয়। সে মোতাবেক কয়েক দফায় ৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা দেন ভুক্তভোগী জাহাঙ্গির আলম। দীর্ঘদিনেও চাকরি না হওয়ায় পাওনা টাকা ফেরত চান ভুক্তভোগীর পরিবার।

এরপর থেকেই টাকা ফেরত দিতে নানা ভাবে টালবাহানা শুরু করেন আসাদুল ইসলাম।

গত ০১/০৭/১৯ তারিখে মামলার বাদী আলমগীর হোসেন মোবাইলে যোগাযোগ করলে পাওনা টাকা ফেরত দিতে একটি অঙ্গীকার নামা করে দেন আসাদুল ইসলাম। অঙ্গীকার নামার এক মাস পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত দেননি।

এরপর আবারও সর্বশেষ যোগাযোগ করা হলে ২০/০৯/১৯ ইং তারিখে টাকা দিবে বলে আসাদুল ইসলাম তার গ্রামের বাড়িতে আসতে বলেন। সেখানে তাদের ডেকে নিয়ে টাকা দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় এবং হুমকি প্রদান করা হয়।

মামলার বাদী আলমগীর হোসেন বলেন, নওগাঁতে পড়াশুনার সুবাদে আসাদুল ইসলামের সাথে আমার পরিচয় হয়। বড় ভাইয়ের চাকরির জন্য বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন। পূর্ব পরিচয়ের সুবাদে বিষয়টি আসাদুল ইসলামের সাথে আলোচনা করা হলে তিনি চাকরি নিয়ে দিতে পারবেন বলে টাকার অফার করেন। খাদ্য অধিদপ্তরে প্রশাসন বিভাগের আওতাধীন সাইলো অপারেটিভ পদে চাকরি দিবে বলে ১৩ লাখ টাকার চুক্তি হয়। সে মোতাবেক কয়েক দফায় ৯ লাখ ১৩ হাজার টাকা দিই। কিন্তু তিনি চাকরি নিয়ে দিতে না পারায় টাকা ফেরত চাইলে নানা রকম টাল বাহানা করেন। শেষ পর্যন্ত সাফ জানিয়ে দেন টাকা দিবেন না।

এ ব্যাপারে জারি কারক আসাদুল ইসলাম বলেন, চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা নিয়েছি সত্য। তবে সব টাকা আমি নেইনি। আমার সঙ্গে আরেকজন ব্যক্তি ছিলেন তিনি ৬ লাখ টাকা এবং আমি ৩ লাখ টাকা নিয়েছি। তবে যিনি ৬ লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি দেশের বাহিরে চলে গেছেন। এখন সমুদয় চাপ আমার উপর আসছে। তবে তাদের সাথে বিষয়টি নিয়ে আপোসে বসব।


শর্টলিংকঃ