Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে ১৭৩৭ কোটি টাকা দিল বিশ্বব্যাংক


ইউএনভি ডেস্কঃ

খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশের মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি প্রজেক্টের জন্য অতিরিক্ত ২০ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থায়নে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা ধরে) প্রায় এক হাজার ৭৩৭ কোটি দুই লাখ টাকা।


বিশ্বব্যাংকের বোর্ড অব এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টরস বাংলাদেশের ৪৫ লাখ পরিবারের জন্য জাতীয় কৌশলগত শস্য মজুদ ৫ কোটি ৩৫ হাজার ৫শ টন করতে সংরক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই অনুমোদন দেয়।

রোববার বিশ্বব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই প্রকল্প ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা কোভিড-১৯ মহামারীর মতো সংকটের সময়ে বাংলাদেশের খাদ্য অনিশ্চয়তা মোকাবেলায় সহায়তা করবে।

প্রকল্পের আওতায় আটটি জেলায় ধান ও গম মজুদে সরকারি আটটি আধুনিক গুদাম নির্মাণে সহায়তা দেয়া হবে। বর্তমানে আশুগঞ্জ, মাধবপুর ও ময়মনসিংহে এ ধরনের গুদাম তৈরির কাজ চলছে। অতিরিক্ত অর্থ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে ধানের গুদাম এবং চট্টগ্রাম ও মহেশ্বরপাশায় গমের গুদাম নির্মাণে ব্যয় হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অতিরিক্ত এই অর্থ অনলাইন ফুড স্টক অ্যান্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেমের (এফএসএমএমএস) মাধ্যমে শস্য মজুদ ব্যবস্থাপনা দক্ষতার উন্নয়ন এবং পরিবারগুলোর দুর্যোগোত্তর চাহিদা পূরণে শস্য মজুদ সক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেবে।
এছাড়া, এই প্রকল্প বিশেষ করে নারীদের জন্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ ও ভূটানে বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আনিস বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ লোক গ্রামে বাস করে। তাদের জীবনযাপন, কল্যাণ ও খাদ্য নিরাপত্তা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকির কবলে রয়েছে।

তিনি বলেন, আধুনিক এই খাদ্য মজুদ পদ্ধতি এবং কার্যকর বিতরণ পদ্ধতি যৌথভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ শেষে কিংবা বর্তমান কোভিড-১৯ মহামারীর মতো সংকটকালে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক হবে।

এই প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের টিম লিডার ক্রিশ্চিয়ান বার্গার বলেন, বর্তমানে সরকারি খাদ্য বিতরণ ও শস্য গুদামে ২০ লাখ টন মজুদের সক্ষমতা রয়েছে। এসব গুদামের অধিকাংশের মান খুব খারাপ। ফলে, মজুদকৃত শস্যের গুণগত মান ও পুষ্টিমূল্য হারায়। এই প্রকল্প শস্য মজুদ দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলবে।


Exit mobile version