Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

খালেদা ঘুমিয়ে, তাই পেছালো মামলার চার্জ শুনানি


ইউএনভি ডেস্ক :

বিচারক কারা কর্তৃপক্ষকে খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির না করার কারণ জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় এক কারা কর্মকর্তা আদালতকে জানান, ‘খালেদা জিয়া ঘুম থেকে এখনও ওঠেননি। এজন্য তাকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হয়নি।’

খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঘুমিয়ে থাকায় নাইকো দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পিছিয়েছে। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ ধার্য করেছেন।

আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে ঘুম থেকে উঠতে পারেননি। তার চিকিৎসার বিষয়ে জেল কোড অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে।

তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ হলে বিচারক জেল কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু খালেদা জিয়া অসুস্থ, কারা কর্তৃপক্ষ এমন কথা বলেনি। তারা বলেছে, তিনি ঘুম থেকে ওঠেননি। এসব শুনে এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান।

উল্লেখ্য, পূর্ব ছাতক গ্যাসক্ষেত্র অনিয়মের মাধ্যমে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়া সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

মামলাটির অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।

পলাতক অন্য তিন আসামি হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। চলতি বছরের ৫ মে এই মামলায় অভিযুক্ত আরেক আসামি সাবেক সচিব শফিউর রহমান মারা যান।

গত বছরের ২০ নভেম্বর দুদকের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। এতে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গতবছর পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।


Exit mobile version