গতানুগতিক সমালোচনার বৃত্তে আবর্তিত বিএনপি


ইউএনভি ডেস্ক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গঠনমূলক সমালোচনা করলে সেটা বাস্তবসম্মত হতো। কিন্তু তিনি তা না করে বাজেট নিয়ে আগেভাগে ঠিক করা, মনগড়া গতানুগতিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

গতানুগতিক সমালোচনার বৃত্তে আবর্তিত বিএনপি

মির্জা ফখরুল বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫ শতাংশ বরাদ্দের কথা বলেছেন। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতার কথা বিবেচনায় থাকলে তিনি এত সহজে বলতে পারতেন না। রাজনৈতিক বিবেচনায় আকস্মিকভাবে আউট অফ বক্স কোনো বরাদ্দ তুলে সেটা চোখধাঁধানো হলেও বাস্তবসম্মত সত্য নয়।

শনিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় সেতুমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।কাদের বলেন, বৈশ্বিক সংকটময় পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার সরকার গণমুখী বাজেট উপস্থাপন করেছে।

সঙ্কটকালে মানুষের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, অর্থনৈতিক উত্তরণের এ বাজেট নিয়ে বিএনপি গতানুগতিক সমালোচনার বৃত্তে আবর্তিত হচ্ছে। গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা, মনের ভাষা শেখ হাসিনা বুঝতে পারেন। তাই মানুষের সুরক্ষার পাশাপাশি অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের প্রামাণ্য উপস্থাপন এই বাজেট।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শুধু বাজেটই নয়, সরকারের যেকোনো কাজের সমালোচনাকে বিএনপি ব্রত হিসেবে বেছে নিয়েছে। দেশের সংকটকালে সাধারণ ছুটির মধ্যে এত বড় একটি বাজেট প্রণয়ন ও উপস্থাপন করে সরকার যে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে তার প্রশংসা করতে বিএনপির নিদারুণ কৃপণতার পরিচয় দিয়েছে।

সমালোচনার জন্য সমালোচনা না করে সরকারের জনহিতকর কাজে এবং বাজেট বাস্তবায়নে আমরা বিএনপিসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। কাদের বলেন, করোনা মোকাবিলায় শুধু স্বাস্থ্য খাতই নয় সব খাতকে করোনা প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। করোনা প্রতিরোধে বিভিন্ন খাতে নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। যেগুলো বাজেটে দেখানো সম্ভব হয়নি। করোনার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে বাজেটের বাইরে এসব প্রকল্পে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা রেখেছে সরকার।

বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার প্রভাবে রাজস্ব আয় কমেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে যে কোনো মুহূর্তে জাতীয় আয় ব্যয় কমবেশি হতে পারে। সেজন্য এটাকে ফ্লেক্সিবল ডকুমেন্ট হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। সরকার করোনার বিরূপ প্রভাব মোকাবিলার জন্য তাৎক্ষণিক ব্যয়ের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। জনগণের যাতে কষ্ট না হয় এজন্য শেখ হাসিনার সরকার জনকল্যাণমূলক জীবনঘনিষ্ঠ খাতসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছে।

কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এবারের বাজেটে অপ্রদর্শিত আয় নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে নিয়মিত করার সুযোগ দেয়ায় কিছু গতানুগতিক সমালোচনা হচ্ছে। যারা সমালোচনা করছেন তারা নির্দিষ্ট কিছু এজেন্ডা সামনে রেখে সমালোচনা করেন। অন্যদিকে সরকার বাস্তবতার নিরিখেই জাতীয় অর্থনীতির সুনির্দিষ্ট কতিপয় খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রেখেছে। অর্থনীতির সব খাতে এ সুযোগ দেয়া হয়নি। করোনা সংকটে সুনির্দিষ্ট খাতগুলোতে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সুযোগ রাখা হয়েছে।

এতে দেশের টাকা দেশে বিনিয়োগের সুযোগ থাকবে। অর্থ পাচার বন্ধ হবে। বিনিয়োগের এ সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি সরকার দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম আরও জোরদারের প্রত্যয় ঘোষণা করেছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার অনিয়ম ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না এটা তার শুদ্ধি অভিযানের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়।


শর্টলিংকঃ