নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বরেন্দ্রঅঞ্চল জুড়ে যে দিকে চোখ যায় সড়কের দুই পাশে দেখা যায় সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। তার মধ্যে অন্যতম একটি গাছ হল তীত ভ্যাট। গাছটির পাতা যেমন দেখতে সুন্দর। ঠিক তেমনি ফুলগুলো চমৎকার। ওই সব এলাকায় যেন গড়ে উঠেছে এক রকম ফুলের বাগান। তবে গাছগুলো লাগানো নয়। প্রাকৃতিক উপায়ে গড়ে উঠছে এসব গাছ। বিভিন্ন ঝোপ ঝাড়ে অন্য গাছের সাথে জন্ম এই গাছগুলোর। সেই তীত ভ্যাট স্থানীয় গরীব মানুষরা গ্যাসের মহা ঔষধ হিসেবে সেবন করে থাকেন। গাছের ডাল পালা,জড় এবং ফুল সব গুলোই খুবই তিতা। তার জন্যই এই গাছটির নাম রাখা হয়েছে তীত ভ্যাট।
নাচোল উপজেলার নেজামপুর এলাকার ষাটার্ধ একরামুল হক জানান,বরেন্দ্রঅঞ্চলে আজ থেকে ২০ বছর আগে ব্যাপকভাবে চোখে পড়ত। তবে এখন কালের বিবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে এসব ঔষধি গাছ। তার পরেও কিছু এলাকায় এখনও টিকে আছে এসব গাছ।যা মানুষের অনেক উপকারে আসছে। বিশেষ করে বরেন্দ্রঅঞ্চলের অনেক মানুষ এই তীত ভ্যাট গাছ কে গ্যাসের মহা ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। তিনি বলেন,গাছের পাতা থেকে শুরু করে এর প্রতিটা অংশ রস করে সেবন করলে গ্যাস হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন চায় বিএনপি
শ্যামপুর এলাকার যুবক সোহান শাহরিয়ার জানান,তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ গ্যাসের সমস্যায় ভূগছিলেন। গ্রাম্য এক কবিরাজের পরামর্শে তীত ভ্যাট গাছের রস পান করে অনেকটাই উপকার পেয়েছেন।
নাচোলের খলসি বাজারের কবিরাজ বাহার আলী মন্ডল জানান,তীতভ্যাট গাছ যেমন দেখতে সুন্দর। তেমনি তার উপকারিতাও রয়েছে। নিয়মিত ওই গাছের রস সেবন করলে চিরতরে গ্যাস হতে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। তকে প্রচন্ড তিতার কারনে অনেকে রস পান করতে চান না।
এ বিষয়ে একাধিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে জানতে চাইলে তীত ভ্যাটের গাছের উপকারিতা সম্পর্কে জানাতে পারেন নি।
