গাছ অর্ধেক কাটার পর অনুমোদন নিতে প্রকৌশলীর দৌড়ঝাঁপ


ইউএনভি ডেস্ক:

নিয়মের তোয়াক্কা না করে সরকারি অফিসের গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছে। পরে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় তড়িঘড়ি করে বন অফিসে গাছ অর্ধেক কেটে অনুমোদন আনতে দরখাস্ত পাঠায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়।

মঙ্গলবার বিকালে শহরের পাইকপাড়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের মূল ফটকের পাশে একটি বড় কড়ই গাছ ছিল। গাছটির মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা। সেই গাছটি মঙ্গলবার উপসহকারী প্রকৌশলীর নির্দেশে কাঠুরে দিয়ে কাটা শুরু হয় বিক্রয় করার জন্য।

এ কাজটি জয়নাল নামের এক ঠিকাদারের দায়িত্বে কাঠুরেরা করছিলেন। দুপুর ঘনিয়ে বিকাল হলেও সেই গাছটি অর্ধেক কাটা হয়। এরই মাঝে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর নির্দেশে উপসহকারী প্রকৌশলী বন বিভাগে গাছ কাটার আবেদন করেন।

বন বিভাগ অফিসের সূত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী সরকারি অফিসের কোনো গাছ কাটতে হলে সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে অনুমোদন নিতে হবে। এরপর বন বিভাগে আবেদন করতে হয়। সেই আবেদন সরেজমিন যাচাই-বাছাই করে গাছের মূল্য নির্ধারণ করে কাটার অনুমোদন দেন। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এ নিয়ম না মেনে নিজেদের খেয়াল খুশিমতো গাছটি কেটে ফেলেছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকালে কুমিল্লা সামাজিক বন বিভাগের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসএফএনটিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান-২ জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে কিছুক্ষণ আগে ফোন দিয়ে বলেছে- একটি গাছ কাটার দরখাস্ত পাঠিয়েছে। এর আগে তারা গাছ কাটার বিষয়ে কোনো দরখাস্ত দেয়নি।

পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এসএফএনটিসির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান-২ বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে গাছ কাটার বিষয়ে একটি দরখাস্ত পাঠিয়েছে। সেই দরখাস্ত অনুযায়ী ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি গাছ অর্ধেক কাটা হয়ে গেছে। তাদের গাছ কাটা জরুরি হলে দরখাস্ত আগেই করা দরকার ছিল।

তবে জনস্বাস্থ্য প্রকৗশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী সামিরা আক্তার রক্সি বলেন, গাছ কাটতে আমরা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছি। নিয়ম মেনে গাছ কাটা হয়েছে। আমরা বন বিভাগে দরখাস্ত দিয়ে অনুমোদন নিয়েছি।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে গাছ কাটতে অনুমোদন নিয়েছি। নিয়ম মেনে গাছ কাটা হয়েছে।


শর্টলিংকঃ