- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

গাড়ি থেকে নেমে ট্যাক্সিচালককে পুলিশে দিলেন মিমি


ইউএনভি ডেস্ক:

অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করায় গাড়ি থেকে নেমে এক ট্যাক্সিচালককে পুলিশের হাতে দিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। মঙ্গলবার ওই ট্যাক্সিচালককে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।


ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। সেদিন বালিগঞ্জ এবং গড়িয়াহাটের মাঝামাঝি এলাকায় ট্র্যাফিক সিগনালে যখন মিমির গাড়ি দাঁড়িয়েছিল, তখন একটি ট্যাক্সি তার গাড়িকে ওভারটেক করে। মিমি কাচ নামিয়েছিলেন। তখনই তিনি লক্ষ্য করেন, পাশে দাঁড়ানো ট্যাক্সিটির চালক তার দিকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছেন। সটান গাড়ি থেকে নামেন মিমি। ট্যাক্সিচালককেও টেনে নামান। ধমকে বলেন, তাকে পুলিশে দেয়া হবে। ততক্ষণে রাস্তায় লোক জমে গেছে। মিমি তাকে ছেড়ে চলে আসেন।

এরপর মিমি যোগাযোগ করেন পুলিশের সঙ্গে। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। ঘটনা জেনে অভিযুক্ত চালকের খোঁজ শুরু করে। রাতেই তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। ঘটনাচক্রে, ওইদিন মিমির দেহরক্ষী তার সঙ্গে ছিলেন না। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার মিমি বলেন, ‘‘সরকারি গাড়ি দেখেও যদি এক ট্যাক্সিচালক তার আরোহীকে উদ্দেশ্য করে প্রকাশ্যে এমন অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও মন্তব্য করতে পারে, তা হলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা হতে পারে!’’ মিমি জানান, সে কারণেই তিনি কালক্ষেপ না করে গাড়ি থেকে নেমে প্রতিবাদ করেন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।

পুলিশ জানায়, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ নাগাদ বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কাছে ক্রমাগত হর্ন দিতে দিতে মিমির গাড়িকে ওভারটেক করে একটি ট্যাক্সি। মিমি গাড়ি থেকে নেমে ট্যাক্সিটি দাঁড় করান। তখন ট্যাক্সিচালক মিমির উদ্দেশে অনবরত কটূক্তি করে। অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও করে। সাংসদ দ্রুত কর্তব্যরত সার্জেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

পুলিশের বক্তব্য, ওই সার্জেন্ট আধ ঘণ্টার মধ্যে ট্যাক্সি-সহ চালককে আটক করেন। ওই চালকের নাম দেবা যাদব। বয়স ৩২ বছর। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বাইপাসের ধারে আনন্দপুর থানা এলাকা থেকে। তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ইঙ্গিত এবং কটূক্তির ধারায় গড়িয়াহাট থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও মিমি এমন প্রতিবাদী ভূমিকায় নেমেছেন। বছর চারেক আগে এক পথচারীকে একটি বাইক ধাক্কা মেরে হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছে দেখে মিমি গাড়ি থামিয়ে রুখে দাঁড়ান। বাইক আরোহীকে থামিয়ে তাকে রাস্তাতেই নামিয়ে দু-চার ঘা দিয়ে পুলিশ ডাকেন। পরে দেখা যায়, ওই বাইকচালক মাতাল অবস্থায় ছিল।