গুজবকারী শনাক্ত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৎপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী!


পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে, ছেলেধরা, মসজিদে অগ্নিকাণ্ডসহ নানা গুজব প্রতিরোধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কড়া নজরদারির লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম কাজ করছে। সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম ডিভিশনের তথ্য অনুযায়ী, মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা করতে কাজ করছে এই বিশেষ টিমটি।

জানা গেছে, ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করে এই টিমটি তথ্য সংগ্রহ করছে। যাদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম ডিভিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, একটি বিশেষ চক্র বিভিন্ন ইস্যু কেন্দ্রিক গুজব ছড়িয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। তাদের ছড়ানো গুজবের কারণে এরইমধ্যে অনেক নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। সম্প্রতি ছেলেধরা গুজব, পদ্মা সেতুতে মাথা লাগার মতো গুজবের কারণে বেশকিছু মানুষ গণপিটুনির শিকার হয়েছে। যা সামাজিক অবক্ষয়ের পর্যায়ে রূপ নিয়েছে। ফলে এই গুজব ও অপতৎপরতা রুখে দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠ-পর্যায়ে কাজ করছে। মাঠ-পর্যায়ের সদস্যদের সহযোগিতা করতে সাইবার সিকিউরিটি টিম বিশেষভাবে নজর রাখছে।

তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি টিমকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, যারা গুজবের সঙ্গে সম্পৃক্ত অর্থাৎ যারা গুজব ছড়াবে এবং শেয়ার, কমেন্ট করে যারা এটিকে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ফলে সবাইকে গুজব বিষয়ে সচেতন হওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, এরইমধ্যে সারা দেশে গুজব ও গণপিটুনির ঘটনায় ৩১টি মামলায় এ পর্যন্ত ১০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মাথা কাটার গুজব ছড়ানোর কাজে ব্যবহৃত ৬০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ২৫টি ইউটিউব লিংক এবং ১০টি ওয়েব পোর্টাল বন্ধ করা হয়েছে। বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।


শর্টলিংকঃ