গোদাগাড়ীর ফুটবলার জোগেন যাচ্ছেন ব্রাজিল


শামসুজ্জোহা বাবু,গোদাগাড়ীঃ
ব্রাজিলের নাম উচ্চারিত হলেই শিহরণ জাগে ফুটবলপ্রেমীদের মনে। পেলে-গ্যারিঞ্চা-জিকো-রোনালদো সহ অজস্র গ্রেট ফুটবলারের জন্মভূমি ব্রাজিল দারুণ জনপ্রিয় বাংলাদেশেও। উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য সেই স্বপ্নের দেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন দেশের চার তরুণ ফুটবলার। তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ীর জোগেন। সেখানে এক মাসের প্রশিক্ষণ নেবে সে।

বাংলাদেশ থেকে সুযোগ চার জনের একজন হলো জোগেন।জোগেন লাকড়া (১৭)। গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বিশ্বনাথ লাকড়া ও প্রমিলা লাকড়ার ছেলে। জোগেন লাকড়া গোদাগাড়ী আবাহনী ফুটবল একাডেমীর নিয়মিত খেলোয়াড়। সে ছাত্র মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রী কলেজের বিজনেস ম্যানেজমেন্টর একাদশ শ্রেণিতে পড়ে।

সাও পাওলোর ভাস্কো দা গামা একাডেমিতে এক মাসের জন্য প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত ফরোয়ার্ড জোগেন লাকরা, ডিফেন্ডার নাজমুল আকন্দ, এবং দুই মিডফিল্ডার ওমর ফারুক মিঠু ও লতিফুর রহমান নাহিদ। বঙ্গবন্ধু অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্ট থেকে বাছাই করা হয়েছে তাদের। ২৫ জুন মঙ্গলবার রাতে ব্রাজিলের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে তারা।

উল্লেখ্য, গত বছর রাশিয়া বিশ্বকাপের সময় বাংলাদেশে ফুটবল উন্মাদনা বিস্মিত করেছিল ঢাকার ব্রাজিলিয়ান দূতাবাসের কর্মকর্তাদের। সেই সময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় সাবেক জাতীয় ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলামের। দুই পক্ষের আলোচনার পর বাংলাদেশের কয়েকজন তরুণ ফুটবলারকে প্রশিক্ষণের জন্য ব্রাজিলে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা। সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হলো।

জোগেন লাকড়া গোদাগাড়ী ত্যাগের আগ মুহুর্তে বলেন,‘আমি ব্রাজিলকে সমর্থন করি, আর সেই দেশেই যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। পেলে-নেইমারের দেশে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে। ব্রাজিলে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে কোনও বড় ক্লাবে খেলতে চাই। আমার স্বপ্ন জাতীয় দলে খেলা।’

আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান গোদাগাড়ী আবাহনী ফুটবল একাডেমীর প্রতিষ্ঠা সভাপতি অধ্যাপক আকবর আলী,জাতীয় ফুটবলের সাবেক খেলোয়াড় শামীম হোসেন,কোচ কামাল হোসেন। তারা জোগেনকে উপহার সামগ্রী তুলে দেন। নেইমারের দেশে যাচ্ছেন বলে মিঠুও দারুণ খুশি, ‘এটাকে আমাদের দেশের বিশাল প্রাপ্তি বলতে হবে। কখনও ব্রাজিলে যাওয়ার কথা কল্পনাও করিনি। নেইমারের খেলা আমি ভীষণ পছন্দ করি, আর এখন তার দেশেই যাচ্ছি। এই অর্জন ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

আর নাজমুলের কথা, ‘ব্রাজিলে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে খুব ভালো লাগছে। সুখবরটা পেয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা দারুণ খুশি। জানতে চাইলে গোদাগাড়ী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আকবর আলী বলেন,‘বাংলাদেশ থেকে চার জনকে সুযোগ দিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল একাডেমি সাও পাওলো। গোদাগাড়ীর জোগেন আমাদের জেলার নাম উজ্জ্বল করেছে। সে প্রশিক্ষন নিয়ে এসে দেশের ফুটবলের হাল ধরবে এমটাই আশা করা যায়।


শর্টলিংকঃ