Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

গোদাগাড়ী উপজেলা আ’লীগ সভাপতি বহিস্কার


নিজস্ব প্রতিবেদক, গোদাগাড়ী:

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বদিউজ্জামানকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিকেলে বিক্ষোভ করেছেন বদিউজ্জামানের সমর্থকরা।

গোদাগাড়ী উপজেলা ভোটে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে বহিস্কার হওয়া মো. বদিউজ্জামান।

তবে মো. বদিউজ্জামান বলেন, আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। সভাপতির মতামত ছাড়া কোনো সভা কেউ ডাকতে পারে না। দলের নিয়মের বাইরে গিয়ে গুটিকয়েক ব্যক্তি এই সিদ্ধান্ত নিলে তা তো আমি মানবো না।’ তিনি দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ ঘটনার বিচার চাইবেন বলে উল্লেখ করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেলে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বদিউজ্জামান। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ।

সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, দলীয় সিদ্ধান্ত অবমাননা করে বিদ্র্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় মো. বদিউজ্জামানকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে বহিষ্কার করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো। একই সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে কার্যনির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এদিকে, বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত যখন নেয়া হয়, তখন বদিউজ্জামান তার সমর্থকদের নিয়ে উপজেলার গোগ্রাম ইউনিয়নে গণসংযোগ করছিলেন। তার সমর্থকেরা এ খবর পাওয়ার পর থেকে বর্ধিত সভায় বহিস্কারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. বদিউজ্জামান বলেন, ‘উপজেলা থেকে পাঠানো তালিকায় আমার নাম ছিল এক নম্বরে। সকলের সর্বসম্মতিক্রমে ওই তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তালিকা পরিবর্তন করে মনোনয়ন পাওয়া জাহাঙ্গীর আলমের নাম এক নম্বরে দিয়ে কেন্দ্রে জমা দেয়া হয়েছে।’

তিনি দাবি করেন, গোদাগাড়ীর মানুষ এটা মেনে নিবে না। তাকে যদি শুধু হত্যা করা না হয়, তাহলে আগামী ১০ মার্চ তিনিই হবেন গোদাগাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান।

তবে গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, তারা দলের গঠনতন্ত্র ও শীর্ষ নেতাদের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী বর্ধিতসভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন বদিউজ্জামান ও তার সমর্থকরা প্রতিবাদ করছেন না নাকি বিক্ষোভ করে বেড়াচ্ছেন; এটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। নিয়ম অনুযায়ী তিনি এখন দলের কেউ নন।


Exit mobile version