Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

গড়ে আটটি গেইম ডাউনলোড থাকে মোবাইলে


বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনে গড়ে আটটি ভিডিও গেইম ডাউনলোড আছে। আর দেশভেদে কমপক্ষে দুটি করে গেইম সচরাচর খেলা হয়। এছাড়াও অ্যাপ এনির ২০১৮-১৯ সালের মোবাইল গেইমের তথ্য তুলে ধরে এক সেমিনারে এসব কথা জানান গেইম নির্মাতা মাশা মোস্তাকিম।

দেশের প্রথম ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কনফারেন্স ‘ভিআর কন’ আয়োজনের দ্বিতীয় দিন শনিবার ‘কিভাবে আপনার পরবর্তী মোবাইল গেইম আইডিয়া খুঁজে পাবেন’ শিরোনামের সেমিনারে তিনি গেইমিং খাতের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

সেমিনারে মোবাইল গেইম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আলফা পটেটোর প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মাশা মোস্তাকিম তার মোবাইল গেইম নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তুলে ধরেন।

তরুণদের কাছে এখন মোবাইল গেইম খুবই জনপ্রিয়। এমনকি দেশে এবং আন্তর্জাতিক হিসাবেও মোবাইল গেইম এখন বড় একটি বাজার।

দেশের তরুণরা যেমন এই বাজারে গেইমার হিসেবে প্রবেশ করছে, তেমনি আবার অনেকেই গেইম তৈরিকে পেশা হিসেবে নিচ্ছে। যেহেতু মোবাইল গেইম খুবই প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার, তাই এখানে টিকে থাকাটাও খুব কষ্টকর।

গেইমিং বাজারে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে হলে ইউনিক আইডিয়া নিয়ে কাজ করতে হবে বলে ওই সেমিনারে উঠে এসেছে।

সেমিনারে বক্তরা বলেন, মোবাইল বাজারে সবচেয়ে বেশি উত্থান-পতন হয় বলে শোনা যায়। তবে এক দিন থেকে দেখতে গেলে এই বাজার খুব উঠছে আবার অন্য দিকে দিয়ে দেখতে গেলে এর বাজার পড়তির দিকে।

মূল যে বিষয় মোবাইল গেইম, সেদিন থেকে দেখতে গেলে এখন এই বাজার খুবই বাড়তির দিকে। গেইমার যেমন বাড়ছে, তেমনি গেইমের পরিমাণ এবং এর বাজারও বাড়ছে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাশা মোস্তাকিম। তিনি জানান, বিশ্বের মোট অ্যাপ ডাউনলোডের ৩৩ শতাংশ গেইম। গ্রাহকরা মোবাইলে যে পরিমাণ ব্যয় করে। অর্থাৎ প্রতি ডলার ব্যয়ের মধ্যে ৭৪ শতাংশ হয় মোবাইল গেইমে।

আর ব্যবহারকারীরা মোবাইলে যে পরিমাণ সময় ব্যয় করে তার ১০ শতাংশ গেইম খেলে ব্যয় করে।

ডাউনলোডের দিক থেকে প্লেস্টোর এগিয়ে রয়েছে। আর মনিটাইজেশনের দিক থেকে এগিয়ে আছে অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর।

মাশা মোস্তাকিম বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমরা যেসব গেইম ডেভেলপড করি তার অধিকাংশই প্লেস্টোরে খুবই বেশি ডাউনলোড হয়। তবে সেখানে আয় একটু কমই হয়। অন্যদিকে অ্যাপ স্টোরে যে ডাউনলোড হয় তার থেকেই গুগলে প্লেস্টোরের কয়েকগুণ বেশি আয় হয়।

এখন নতুন ধরনের গেইম তৈরি করছেন বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, এখন আমরা হাইপার ক্যাজুয়াল গেইম নিয়ে কাজ করছি। এটা খুবই ছোট গেইম। এখানে কোনো লং সেশন থাকবে না। এটা কয়েক মিনিট করে হবে। যারা দীর্ঘ সময় নিয়ে গেইম খেলেন না তাদের জন্য এটি তৈরি করা হচ্ছে। এটি একটি বড় বাজার বলেও জানান তিনি।

সেমিনারে মোবাইল গেইম তৈরির জন্য ব্রেইনস্ট্রমিংসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন অন্যান্য বক্তারা।

বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরামের আয়োজৃনে দুই দিনের ‘ভিআর কন’ কনফারেন্সে দশটি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার রয়েছে টেকশহরডটকম।

টাইটেল স্পন্সর হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশি গেইম ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান রাইস আপ ল্যাবস।

সহযোগী হিসেবে থাকছে আইসিটি মন্ত্রণালয়ের মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প।

ভেন্যু পার্টনার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) এবং লাইভ স্ট্রিমিং পার্টনার হিসেবে রয়েছে ‘লাইভ টু ওয়েব’। মিডিয়া পার্টনার হিসেবে আছে টেকশহরডটকম, ই-টিকেট পার্টনার ই-সফট ও সহোযোগীতায় রয়েছে ইম্প্রেসিভ ভিআর ও বাংলা পাজল।


Exit mobile version