Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

ঘরের মাঠে ট্রফি জয়ে মরিয়া রাবি, শক্ত প্রতিপক্ষ যবিপ্রবি


সুব্রত গাইন, রাবি:

কিছুক্ষণ পরই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে শক্ত প্রতিপক্ষ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যালয় (যবিপ্রবি) দলের মুখোমুখি হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। শনিবার বিকেল ৪টা থেকে রাবির শেখ কামাল স্টেডিয়ামে শুরু হবে ম্যাচটি। ঘরের মাঠে ম্যাচ হওয়ায় জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী টিম রাবি। তবে টুর্নামেন্টে যবিপ্রবি’র পারফরম্যান্সও মাথায় রাখছে তারা। মাঠে এখন সেরাটা দিয়ে ট্রফি ঘরে তুলতে চায় রাবি।

অপরদিকে, কথায় খই না ফোটালেও নিজেদের পারফরম্যান্সই শক্তি যোগাবে যবিপ্রবি দলকে। টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচেই জয়বঞ্চিত হতে হয়নি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নতুন এই প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল দলকে। তাই নিজেদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে ‘শো’ করে স্বাগতিকদের কাছ থেকে ট্রফি ছিনিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরত মরিয়া তারাও।

জানা যায়, গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচেই আধিপত্য বজায় রেখে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে যবিপ্রবি। প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ভুল করেন নি এক ম্যাচেও। সবশেষ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩-০ গোলে হারিয়ে সহজ জয় তুলে নিয়ে ফাইনালে ওঠে তারা।

অপরদিকে, প্রথম ম্যাচে গোলশূণ্য ড্র করে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়লেও পরে ধারাবাহিক জয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে রাবি দল। সেমিফাইনালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্বিবিদ্যালয়কে ৩-০ গোলে হারিয়ে ট্রফি জয়ের স্বপ্নে বিভোর খেলোয়াড়রা ও কোচ। সঙ্গে থাকছে নিজ মাঠে গ্যালারি ভর্তি দর্শকের উৎসাহ।

রাবি ফুটবল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যরা জানান, ছেলেরা প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও তারপর থেকে সব ম্যাচে ধারাবাহিক পারফর্ম করছে। নিজেদের মাঠ হওয়ায় বাড়তি উৎসাহ ও মনোবল থাকবে। তাই ট্রফি তাদের ঘরেই থাকছে বলে বিশ্বাস তাদের।

অপরদিকে যবিপ্রবি’র কোচ জানান, টুর্নামেন্টে যবিপ্রবি পুরো টিম হিসেবে খেলছে এবং পারফর্মও করছে। তিনি মনে করেন- স্বাগতিক হওয়ায় রাবি দলই বেশি চাপে থাকবে। তারা (যবিপ্রবি) চাপমুক্তভাবে স্বাভাবিক খেলাটা উপহার দেবে বলেন তিনি।

এদিকে, শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্যালারিতে শিক্ষার্থীরা ভিড় করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী স্টেডিয়ামে স্লোগান দিচ্ছেন। সবমিলিয়ে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাসে স্টেডিয়াম এলাকায় উৎসবের আমেজ বাইছে।


Exit mobile version