ঘুমের বড়ি খাইয়ে স্ত্রীর শরীরে গরম পানি ঢেলে পালাল স্বামী


ইউএনভি ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে ঘুমের বড়ি খাইয়ে অচেতন করে মুখে ও শরীরে গরম পানি ঢেলে দিয়েছে তার স্বামী পায়েল মিয়া। ঘুমের মধ্যেই চিৎকার দিলে পরিবারের সদস্যরা উঠে পড়লে পাষণ্ড স্বামী পায়েল মিয়া দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী পাপড়ি আক্তারকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাসায় আসেন পাপড়ি আক্তার।

সোমবার ভোরের এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হলেও রাত ১১টায়ও পুলিশ তদন্তে ঘটনাস্থলে যায়নি। ফতুল্লার রসুলপুর এলাকায় আমির হোসেনের ভাড়াটিয়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত পাপড়ি আক্তার পিরোজপুর জেলার উদয়কাঠি এলাকার নাজিম উদ্দিন হাওলাদারের মেয়ে। আর তার স্বামী পায়েল মিয়া রংপুর জেলার গঙ্গাচরা থানার বুড়িরহাট মিরাজপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে।

পাপড়ি আক্তার জানান, পায়েল মিয়ার সঙ্গে ১০ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আলিফ (৭) নামে এক পুত্র সন্তান জন্মের পর থেকে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। তাই স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়ি ফতুল্লার রসুলপুর এলাকায় চলে আসেন তিনি। সন্তানকে বাবা মায়ের কাছে রেখে পাপড়ি গার্মেন্টে কাজ করেন। ৭ বছরের মধ্যে তার স্বামী তাদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি।

তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার হঠাৎ ফতুল্লার রসুলপুর এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায় আসেন পায়েল মিয়া। এরপর পায়েল তাদের বাড়ি নিয়ে যাবে বলে পাপড়িকে সন্তান নিয়ে প্রস্তুত হতে বলেন। এতে পাপড়ি অস্বীকৃতি জানান। আর এতদিন কেন স্ত্রী সন্তানের খোঁজখবর নেয়নি জানতে চান পাপড়ি আক্তার।

এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে তর্ক হয়। এরপর কৌশলে দুদিন স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন পায়েল মিয়া। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে রাতে খাবারে সঙ্গে ঘুমের বড়ি খাইয়ে অচেতন করে ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় গরম পানি মুখে ও শরীরে ঢেলে দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় পায়েল। এ সময় পরিবারের সদস্যরা চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে পাপড়িকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানার এসআই জাকির হোসেন বলেন, সকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করার বিষয়টি শুনেছি রাতে। কিন্তু দিনে কেউ বিষয়টি না জানানোয় ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক যেতে পারিনি। সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।


শর্টলিংকঃ