ঘুষ কেলেংকারীর ঘটনা এখন টক অব দ্যা রাণীনগর


 রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৯ লাখ ১৫ হাজার টাকার ঘুষ কেলেংকারীর ভিডিও ফাঁসের ঘটনা এখন টক অব দ্যা রাণীনগর এ পরিনত হয়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ার পর থেকে ব্যাপক ভাবে আলোচন-সমালেচনা চলছে।

জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনের আগ মুর্হুতে এই স্পর্শকাতর ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার বিভিন্ন মোড়ের চা-স্টল,ক্লাব,সভা-সমিতিসহ জনসমাগম স্থলে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার পদে মোট ১৬৫০ জন লোক নিয়োগের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি দেখে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার যোগীভিটা গ্রামের রফিকুল আলম আকন্দের ছেলে নাছিমুজ্জামান আবেদন করে।

নাছিমুজ্জামান জানান, চাকরি দেওয়ার কথা বলে ফাঁদে ফেলে মৌখিক পরীক্ষার আগে ও পরে কয়েক দফায় নগদ ও চেকের মাধ্যমে ৯ লাখ ১৫হাজার টাকা ঘুষ নেন রাণীনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। কিন্তু চাকুরী না হলে ঘুষের টাকা ফেরত চাইলে আনোয়ার বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে ছটকে পরার চেষ্টা করে।

বাধ্য হয়ে গত ১৭ আগষ্ট কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ইতিমধ্যে ঘুষ লেনদেনের সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত অডিও,ভিডিও,ব্যাংক চেকের ছায়ালিপি, ঘুষের টাকা এক ব্যাংকের হিসাব নম্বর থেকে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের ব্যাংকিং চ্যানেলের স্লিপ,ভুক্ত ভোগীর লিখিত অভিযোগ, আমাদের হাতে এসেছে।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। ৩ সদস্য বিশিষ্ট গঠিত তদন্ত কমিটির আহবায়ক আত্রাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কেএম কাউছার হোসেন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন নওগাঁ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। আংশিক তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার কথা জানিয়ে নওগাঁ কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ছামছুল ওয়াদুদ বলেন, পুরো কাগজপত্র হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


শর্টলিংকঃ