ঘুড়িতে বর্ণিল পুরান ঢাকার আকাশ


ইউএনভি ডেস্ক:

প্রতি বছরের মতো এবারও পুরান ঢাকায় ঐতিহ্যবাহী ‘সাকরাইন ঘুড়ি উৎসব’ পালিত হয়েছে। ‘এসো ওড়াই ঘুড়ি, ঐতিহ্য লালন করি’- শ্লোগানে আয়োজিত এই উৎসব ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শত শত রং-বেরঙের ঘুড়ি আকাশে শোভা পায়।

জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে লালবাগের শহীদ আবদুল আলিম ঈদগাহ মাঠে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করেন ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক। উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী।

পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া, মুগদা, ধূপখোলা, দয়াগঞ্জ, নারিন্দা, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার, লক্ষ্মীবাজার, কলতাবাজার, ধোলাই খাল, শাঁখারি বাজার, রায়সাহেব বাজার, নবাবপুর, বংশাল, নাজিরাবাজার, তাঁতীবাজার এবং লালবাগ এলাকার মানুষ সাকরাইন উৎসবে দিনব্যাপী ঘুড়ি ওড়ান। আয়োজন করেন নানা মুখরোচক ঐতিহ্যবাহী খাবারের। পুরান ঢাকার আকাশ নানা রং আর বাহারি ঘুড়িতে বর্ণিল হয়ে ওঠে।

এদিন সকাল ১০টায় কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক ঘুড়ি ওড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে ঘুড়ি ওড়ানো উৎসব।এতে নানা বয়সী মানুষ অংশ নেন। উৎসবকে সামনে রেখে গত এক সপ্তাহ ধরে পুরান ঢাকার অধিকাংশ গলিতে আর খোলা ছাদে ঘুড়ির সুতায় মাঞ্জা দেওয়ার ধুম পড়ে।

এদিকে মুগদা স্টেডিয়ামে সকাল ১০ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একই অনুষ্ঠানের পৃথক ভেন্যু হিসেবে সাকরাইন ঘুড়ি উৎসব পালিত হয়। উৎসব শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএসসিসির ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএম সিরাজুল ইসলাম।

উৎসব কমিটির সভাপতি ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক বলেন, সাকরাইন উৎসব পুরান ঢাকার ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য পুরান ঢাকার তরুণ প্রজন্ম তথা সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে চাই আমরা। আমাদের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস পুরান ঢাকার ঐতিহ্য লালন, সংরক্ষণ এবং প্রসারে যে রূপরেখা ঘোষণা করেছেন সে ধারাবাহিকতায় আমরা এবার বর্ণাঢ্য আয়োজনে উৎসব পালন করছি। আমাদের বিশ্বাস তরুণ ও যুব সমাজ ঘুড়ি উৎসবের মতো আনন্দময় কাজে নিমগ্ন থাকলে ভবিষ্যতে আর বিপথগামী হবে না।


শর্টলিংকঃ