Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

চট্টগ্রামের বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন মালিকরা


জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠকের পর চট্টগ্রাম থেকে বাস না ছাড়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন মালিকরা।ঈদ উপলক্ষে বাড়তি ভাড়া নেয়ায় কয়েকটি বাস কোম্পানিকে বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত রোববার অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সব রুটের বাস বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

রাত ৯টার দিকে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সভায় এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়ার পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন সমিতির নেতারা।

ঘণ্টাখানেক পর বাস ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক কফিল উদ্দিন বলেন, ভাড়া নিয়ে অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটবে না বলে জেলা প্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন। এতে আমরা কর্মসূচি থেকে সরে এসেছি। এখন আবার সব রুটের বাস ছাড়া হবে।

দুপুরে বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক নগরীর বিআরটিসি মোড়ে অভিযান চালিয়ে ঈদ যাত্রায় বাড়তি ভাড়া নেয়ায় হানিফ পরিবহনের কাউন্টার পরিচালককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

পরে চট্টগ্রামের অলংকার মোড় ও ভাটিয়ারির দূরপাল্লার বাসগুলোতেও অভিযান চালানো হয়। একই অপরাধে অপর দুটি পরিবহন প্রতিষ্ঠানকে আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মনজুরুল হক বলেন, বিআরটিসি মোড়ে হানিফ পরিবহনের কাউন্টার থেকে দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন গন্তব্যের জন্য সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া নেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, আফতাব নামে এক যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে দিনাজপুরের একটি টিকেট হানিফ থেকে ১৪০০ টাকায় কেনার অভিযোগ করেন, অথচ তার টিকেটে লেখা ছিল ১৩০০ টাকা। বাড়তি ভাড়া নেয়া পরিবহন কাউন্টারটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এতে চট্টগ্রাম থেকে দেশের সবকটি রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন মালিক-শ্রমিকরা। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে অগ্রিম টিকিট নেয়া যাত্রীদের নগরীর বিভিন্ন বাস স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।

চট্টগ্রাম বিআরটিএয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল হক মীর যুগান্তরকে বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে নগরীর দামপাড়া এলাকায় শ্যামলী কাউন্টার ও একেখান এলাকায় মামুন পরিবহন নামে দুটি বাসের মালিক পক্ষকে জরিমানা করা হয়।

বাস মালিক সমিতির নেতা কফিল উদ্দিন বলেন, আমরা বাস মালিকরা অন্য সময়গুলোতে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কম টাকায় যাত্রী পরিবহন করি। ঈদ আসলে সরকার নির্ধারিত ভাড়া আদায় করি।

কিন্তু এই ভাড়াকেই বাড়তি ভাড়া হিসেবে দেখানো হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ন্যায্য ভাড়া আদায়ের সুযোগ চাই।


Exit mobile version