চট্টগ্রামে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা যাচাই-বাছাই হচ্ছে


আওয়ামী রাজনীতিতে চট্টগ্রামে ৫০ জন অনুপ্রবেশকারীর প্রাথমিক তালিকা যাচাই-বাছাই হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সেরা করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হচ্ছে একটি গণসংগঠন। এখানে অন্য দল থেকে যোগ দিতে পারবে না এটি নয়। যেকোনো দল থেকে যোগ দিতে পারে। তবে অবশ্যই তাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ, উদ্দেশ্য, নীতিতে বিশ্বাস করতে হবে। আমরা কোনো যুদ্ধাপরাধীকে, যুদ্ধাপরাধী দলের সঙ্গে যুক্ত এমন কাউকে দলে নেওয়া সমীচীন নয়। যারা নানা ভাবে অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত কিংবা আমাদের দলের বিরুদ্ধে, দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত তারা আমাদের দলে আসা সঠিক নয়। উচিত নয়। যে তালিকা হয়েছে তাতে সব অনুপ্রবেশ নয়। এটি প্রাথমিক তালিকা, যাচাই-বাছাই হচ্ছে। যোগ দিলেই অনুপ্রবেশ বলা যাবে না। যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে সেরা করদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, রেল দুর্ঘটনা কেন ঘটেছে সেটি ইতিমধ্যে পত্রপত্রিকায় এসেছে। চালকের ভুলের কারণে, সিগন্যাল অমান্য করার কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেটি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে নিশ্চয় পুরো ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা উঠে আসবে।

সবকিছুতে রাজনীতি খোঁজা বিএনপির অভ্যাস। দুর্ঘটনা হলে রাজনীতি খোঁজা এটি বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্যতা ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং যারা আহত হয়েছেন, যে সব পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে রাজনীতিবিদদের জন্য আমি মনে করি দায়িত্ব ও কর্তব্য। রাজনীতি হচ্ছে জনসেবার জন্য। আমাদের দলের সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতা-কর্মীদের বলা হয়েছে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে থাকার জন্য।

দুর্নীতিবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি তো বাংলাদেশকে পরপর পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল, নিশ্চয় আপনাদের মনে আছে। দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ অর্থাৎ অপ্রদর্শিত অর্থ বেগম খালেদা জিয়া নিজে কালো টাকা জরিমানা দিয়ে সাদা করেছিলেন। তাদের অর্থমন্ত্রী সবাইকে অবাক করে দিয়ে যিনি সবসময় ন্যায়-নীতির কথা বলতেন, সাইফুর রহমান নিজে কালো টাকা সাদা করেছেন জরিমানা দিয়ে। বেগম খালেদা জিয়ার তার দুই পুত্রের দুর্নীতি বিদেশে উদঘাটিত হয়েছে। তারেক জিয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশে এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে এফবিআই। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। তার প্রয়াত পুত্র কোকোর দুর্নীতি উদঘাটিত হয়েছে সিঙ্গাপুরে। কোকোর দুর্নীতির মাধ্যমে পাচারকৃত টাকা বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছিল। যাদের সারা অঙ্গে দুর্নীতি তারা এ নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার রাখে না।

এখনো তো বিএনপির যারা দুর্নীতিবাজ তাদের ধরা হয়নি তো সে জন্য তারা হয়তো মনে করেছে অভিযান শেষ হয়ে গেছে। বিএনপিতেও যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, যারা দুর্নীতির মাধ্যমে নানা কিছু অর্জন করেছেন এবং সরকার, দেশ, জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন সেই তথ্য সরকারের কাছে আছে। সেগুলো নিয়েও সরকার নিশ্চয় কাজ করছে।


শর্টলিংকঃ