চন্দ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি ভারতের পাঠানো চন্দ্রযান-২


উৎক্ষেপণের প্রায় দেড় মাসের মাথায় চাঁদে পদার্পণ করতে চলেছে ভারতের পাঠানো ‘চন্দ্রযান-২’। আজ রাত ১টা ৫৫ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ অংশে অবতরণ করার কথা রয়েছে চন্দ্রযান-২–এর। সফলভাবে অবতরণ করতে পারলে এটিই হবে চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তের সবচেয়ে কাছাকাছি যাওয়া প্রথম নভোযান।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাত দেড়টা থেকে আড়াইটার মধ্যে চন্দ্রযান-২–এর বিক্রম নামের ল্যান্ডারটি চাঁদে নামতে পারে। এই ল্যান্ডারটির কাজ চাঁদে মাটির খোঁজ করা। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) জানিয়েছে, শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে সাড়ে ছয়টার মধ্যে ল্যান্ডার বিক্রম থেকে আলাদা হবে চন্দ্রযান-২–এর রোভার ‘প্রজ্ঞান’। রোভারটির কাজ হবে পৃথিবীতে বিশ্লেষণের জন্য চাঁদের ছবি ও তথ্য পাঠানো। এ ছাড়া চাঁদে পানির খোঁজও করবে প্রজ্ঞান নামের এই রোভারটি।

ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন বলেছেন, এখনো পর্যন্ত ইসরো পরিচালিত সবচেয়ে জটিল অভিযান এই চন্দ্রযান-২। ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এমন এক জায়গায় পৌঁছাতে চলেছি, যেখানে এর আগে কেউ যায়নি। চন্দ্রযান-২–এর নিরাপদ অবতরণের ব্যাপারে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আজ রাতের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।’

ইসরোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বাছাই করা কিছু শিশুদের সঙ্গে নিয়ে চন্দ্রযান-২–এর অবতরণ সরাসরি দেখবেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

চন্দ্রযান-২-এর সফল উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে চাঁদে অভিযান চালানো মাত্র চতুর্থ দেশ হবে ভারত। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছিল। এর আগে ২০০৮ সালে ভারত প্রথম নভোযান চন্দ্রযান-১ উৎক্ষেপণ করে। তবে এটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেনি। চন্দ্রযান-১ রাডার ব্যবহার করে চাঁদে পানির খোঁজ চালায়। ২২ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশ স্টেশন থেকে ৬৪০ টন ওজনের রকেট থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান-২।

এ অভিযান পরিচালনা করতে ভারতের ব্যয় হয়েছে এক হাজার কোটি রুপি। এ অর্থ এর আগে পরিচালিত যেকোনো দেশের চন্দ্রাভিযানের খরচের তুলনায় বহুগুণ কম। ইসরো বলছে, একই ধরনের অভিযানে মার্কিন সংস্থা নাসার ২০ গুণ অর্থ খরচ হয়ে থাকে।


শর্টলিংকঃ