চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপকারীদের ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান


নিজস্ব প্রতিবেদক:  

রাজশাহীতে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা রোধে জনসচেতনতা তৈরির উদ্দেশে প্রচারণা চালিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দিনব্যাপী এই প্রচারণা চালানো হয়৷ পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীনে থাকা বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশন থেকে জয়দেবপুর স্টেশন পর্যন্ত এই প্রচারণা চলে।


সম্প্রতি সময়ে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপকের (জিএম) নির্দেশে বৃহস্পতিবার এই প্রচারণা অভিযান চালানো হয়।

প্রচারণা চালানোর সময় দেশের এই জাতীয় সম্পদকে রক্ষায় সবাইকে নিঃস্বার্থভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়। সবার জানমাল রক্ষায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ থেকে বিরত থাকা এবং অপরাধীকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান রেলওয়ের ঊর্ধতন কর্মককর্তারা।


পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, কমান্ড্যান্ট আরএনবি (পাকশী) রেজওয়ানুর রহমান এবং সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেন্ডেন্ট তারেক ইমরান। রেললাইন এর আশেপাশের ঘনবসতিপূর্ণ জনপদ, হাট-বাজার, স্কুল, মসজিদে গিয়ে তারা পথসভা করেন। প্রচারণা চালান এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন৷

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধের এই প্রচারণার সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার ফুয়াদ হোসন আনন্দ বাংলানিউজকে জানান, ‘পাথর নিক্ষেপ করে মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন একটি ফৌজদারী অপরাধ। এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটাচ্ছে তাদের বিরূদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে৷ সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলাই এ প্রচারণার মূল উদ্দেশ্য’৷

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের সাথে রেলওয়ে পুলিশের সমন্বহীনতা রয়েছে। চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে সবাই মিলে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ না করলে এ প্রচারণার সুফল আসবে না।

প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি গাজীপুরের মৌচাক, কালিয়াকৈর, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর ইত্যাদি এলাকায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের কিছু ঘটনা ঘটেছে৷ এতে বেশ ক’জন সাধারণ যাত্রী আহত হন।এছাড়া পাথর নিক্ষেপের এই ঘটনায় নতুন-পুরোনোসহ বেশক’টি ট্রেনের কোচ ক্ষতিগ্রস্ত্র হয়েছে।


শর্টলিংকঃ