- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীর বাড়ি ভাঙচুর করলেন দুই আ.লীগ নেতা


নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি ভাঙার অভিযোগ উঠেছে দুই আওয়ামী লীগের নেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ তুলে ওই ব্যবসায়ী গত মঙ্গলবার (৪ মে) রাতে নগরের বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

বাড়ি ভাঙায় অভিযুক্ত দুজন হলেন নগরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির আহসান হাবীব ওরফে হাসান এবং মোসাদ্দেক হোসেন লাভলু। লাভলু নগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে রয়েছেন বলে জানা গেছে। আর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিএনএফ ব্যবসায়ী হারুন অর রশীদ। তিনি নগরীর মিয়াপাড়া এলাকায় থাকেন। দুই নেতার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হারুন অর রশিদ ২০১৬ সালে নগরীর রাণীবাজার মিয়াপাড়া এলাকায় একটি টিনশেড বাড়িসহ প্রায় ২ শতাংশ জমি কিনেন। পরে ২০২০ সালে তিনি সেখানে একটি বিল্ডিং নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেন। এই খবর পেয়ে হাসান ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাধ্য হয়ে তিনি তাদের ২ লাখ টাকা দিয়ে নির্মাণকাজে হাত দেন। এর পর করোনার কারণে আর কাজ তেমন এগোয়নি।

এরপর গত ৩০ এপ্রিল সকালে লাভলু ও হাসান জোর করে তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। তারা আরও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তিনি এবার চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি ঘরে ভাঙচুর চালান। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা চিৎকার করলে আশপাশের মানুষজন চলে আসে। পরে তারা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান। বাড়িঘর ভাঙচুরের কারণে তার প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

হারুন অর রশিদ বলেন, হাসান প্রথম ২ লাখ টাকা নিয়ে বলেছিলেন, এটা এলাকার নিয়ম। কেউ এখানে বাড়ি করলে তাকে টাকা দিতে হয়। এই টাকা দিয়ে এলাকার মানুষকে খাওয়ানো হবে। কিন্তু পরে তিনি জানতে পারেন এই চক্র এভাবেই নগরীতে চাঁদাবাজি করেন। পরেরবার তাই আর তিনি টাকা দেননি। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধরও করেন। তারা ভেবেছিলেন, এভাবে চাঁদা দাবি করলে তিনি জায়গা-জমি ছেড়ে চলে যাবেন। কিন্তু তিনি প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে আছেন। তিনি আরও বলেন, তিনি থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর বাড়ি ঘরে হামলাকারীরা তার বাড়ি মেরামত করে দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি আইনি ব্যবস্থাই চান।

এ বিষয়ে কথা বলতে মোসাদ্দেক হোসেন লাভলু ও আহসান হাবীব ওরফে হাসানকে ফোন করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে। বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, ব্যবসায়ী হারুন অর রশিদ একটি অভিযোগ দিয়েছেন। তারা সেটি তদন্ত করে দেখছেন। তাকে বাদি ও বিবাদি জানিয়েছে, তারা নাকি বসে বিষয়টির মীমাংসা করবেন। যদি বিষয়টি মীমাংসা না করা হয়, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।