চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রামবাসীর উদ্যোগে নির্মাণ হচ্ছে বাঁশের সাঁকো


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার সেহালা গাবতলা খাঁড়ির উপর দিয়ে ওই গ্রামের বাসিন্দারা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করছেন। সদর উপজেলার কালুপুর মৌজার দেড় হাজার একর ধান এখন আধা পাকা। এ জমির ধান পরিবহনের জন্য নেই কোন রাস্তা। একটি মাত্র খাঁড়ির কারণে বিছিন্ন রয়েছে পুরো মাঠ। খাঁড়ির ওপারের জমির ধান বহন করে আনতে গাবতলা গ্রামবাসীর উদ্যোগে খাঁড়ির ওপর এই সাঁকো তৈরির কাজ চলছে। সাঁকোটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১১০ ফুট।

গাবতলা খাঁড়ির ওপারে কয়েক হাজার বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন হয়। সেতু বা সাঁকো না থাকায় গ্রামের চাষিরা দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। খাঁড়ির কারণে তাদের মাঠের ধান প্রায় ৪ কিলোমিটার পথঘুরে নিয়ে আসা ছাড়া কোন উপায় নেই। এসব ধান সহজে বহন করে আনতে তারা নিজ উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণের কাজ করছেন।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, এই সাঁকো তৈরিতে কাজ করেছেন অন্তত ২৫ জন। তাদের কেউ পানিতে নেমে বাঁশ পুঁতছেন আবার কেউ বাঁশের ওপর লোহারকাটা মারছেন।

আবু বাক্কার সিদ্দিকী নামে ৭০ উর্দ্ধো এক বৃদ্ধ চাষি বলেন, ১৪ বছর থেকে এখানে ১৫ বিঘা জমি চাষ করেন তিনি। রাস্তা না থাকায় প্রায় ৪ কিলোমিটার ঘুরে ধান নিয়ে আসতে হয় তাকে। এতে অনেক বেশি খরচ হয়। কষ্ট করে চাষাবাদ করেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। তিনি এখানে একটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

হানিফ আলী নামে কৃষক বলেন, খাঁড়ির ওপারে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেন তিনি। রাস্তা না থাকায় জমিতে ধান ফলিয়ে বাড়িতে তুলতে অসুবিধায় পড়তে হয়। তাই তিনি এই খাঁড়ির উপরে বাঁশের সাকো নির্মাণে কাজ করছেন। তিনিও সরকারের কাছে এখানে একটি কালভার্ট নির্মাণের দাবি জানান।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান জানান, কৃষিই এ অঞ্চলের মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস। অথয রাস্তার অভাবে কালুপুর মৌজায় কৃষকদের চাষ করা ধান নিজ বাড়িতে নিয়ে আসতে খুব কষ্ট হয় তাদের। তিনি আরোও বলেন খাঁড়ির উপর একটি কার্লভাট নির্মণ করা হলে এ সমস্যার সমাধান হবে। এলাকার কৃষকদের সুবিধার্থে মাঠে নামার একমাত্র রাস্তাটিতে একটি কালভার্ট নির্মাণ অত্যান্ত জরুরি।


শর্টলিংকঃ