চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিয়ের দাবীতে দশম শ্রেণির ছাত্রের বাড়ীতে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী!


গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার অনুপনগর ইউনিয়নে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে প্রেমিকা। ২৩ মার্চ সকালে প্রেমিকা তার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেয় বলে জানায় স্থানীয়রা। প্রেমিক সদর উপজেলার চর অনুপনগর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আবুল হায়াতের পুত্র দশম শ্রেণির ছাত্র নুর জামান তারিক (১৬) এবং প্রেমিকা দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের এক কৃষকের মেয়ে এবং স্থানীয় এক মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির ছাত্রী।

প্রেমিকা বলেন, আমরা দুজনেই বাসুদেবপুর ইসলামীয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করি। গত এক বছর ধরে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক। গত ২০ মার্চ শুক্রবার আমি আমার মামার বাড়ী বেড়াতে গেলে তারিক ফুসলিয়ে নদীর ওপারে নিয়ে গিয়ে আমার সাথে দৈহিক সম্পর্ক করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ধরে বিয়ে পড়ানোর চেষ্টা করে কিন্তু ছেলেটির পরিবার অর্থশীল ও প্রভাবশালী হওয়ায় থানা পুলিশকে ডেকে আমাদের ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পরেও কোন ব্যবস্থা করেনি। সেদিনই সদর মডেল থানা পুলিশ ২৯০ পেনাল কোড ধারায় (সাধারণ ডায়েরি নং ১১০২ তারিখ-২১ মার্চ, প্রসিকিউশন নং-৯৩/২০) আমাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।

২২ মার্চ রোববার ছেলের পরিবার আমাদের জামিন করালে সোমবার সকালে তারিক আর আমি ছাড়া পায়। কিন্তু তারিক এবং তার পরিবার বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় এবং আমার পিতা-মাতা আমাকে মেনে না নেয়ায় আমি নিরুপায় হয়ে বিয়ের দাবীতে তারিকের বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছি।কিন্তু তারিকের পিতা এবং পরিবারের অন্যান্য লোকজন আমাকে মেরে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। তারপর থেকে আমি অভুক্ত অবস্থায় তার বাড়ীর বাইরেই বসে আছি। তারিকের সাথে বিয়েনা দিলে আমি এখান থেকে যাব না।

প্রেমিক তারেকের পিতা আবুল হায়াত বলেন, মামলা খেটে ছেলে বের হয়ে এসেছে। ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র। এই মুহুর্তে বিয়ে দেয়া সম্ভব না।

চর অনুপনগর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ফুরশেদ আলী বলেন, পুলিশ এসেছে। ছেলে ও মেয়ে পক্ষ যদি সমাধান চায় তাহলে সমাধান করা যাবে। না মানলে কিছু করার নাই।
উপ-পরিদর্শক ওসমান বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। উভয়পক্ষকে নিয়ে মিমাংসা করার চেষ্টা করছি।


শর্টলিংকঃ