চাঁপাইনবাবগঞ্জ তহাবাজারে অতিরিক্ত খাজনা আদায়ের অভিযোগ


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার তহাবাজারে বাড়তি খাজনা আদায়ের অভিযোগ করেছেন সব্জি, পেঁয়াজ মসলাসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তারা এই নিয়ে জেলা প্রশাসক ও মেয়রের কাছে খাজনা কমানোর জন্য দেনদরবারও করেছেন।


সব্জি বিক্রেতা মো. সজলু ও মো. গোলাম রাব্বানী বলেন, ১ আটি লাল শাক বিক্রি করলে খাজনা দিতে হচ্ছে ১ টাকা, সেখানে ওই শাকটি সর্বোচ্চ ৩ টাকার পাইকারি বিক্রি করতে হয়। আর ওই শাক কৃষকের কাছে কতটাকায় কিনব আর লাভই বা কত করবো। দিন দিন লাভ কমে যাচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শ্রীরামপুরের সব্জি চাষী মোশারফ হোসেন জানান, তিনি নিজ জমিতে পুইশাক, পাট শাক, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজী চাষ করে আসছেন। তিনি বলেন, তহাবাজারে প্রতি আটি পুই শাকে ২টাকা খাজনা দিতে হয়, আর প্রতি আটি পুই শাক ৪ থেকে ৫ টাকায় পাইকারী বিক্রি করতে হয়। সবজি বিক্রির একটা বড় অংশই তার চলে যায় খাজনায়, ফলে এখানে সব্জি বিক্রি ছেড়ে বিভিন্ন হাটে সবজি বিক্রি করা শুরু করেছেন।

পেঁয়াজ বিক্রেতা কুতুব উদ্দীন ও জামিরুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের বস্তায় আগে খাজনা ছিলো ১২ টাকা এখন ১৫ টাকা। ৩ টাকা বৃদ্ধিতে তার কি সমস্যা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমনিতেই ১২ টাকায় বেশি হয়ে যায়, এখানে যারা ব্যবসা করি, তারা অধিকাংশই পাইকারী বিক্রি করে থাকি, আর এ বাজারের একটু কম দামে মালামাল বিক্রি হয়, তাই সবাই এখানে আসেন। এক বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করে খুব বেশি লাভ হয় না। তিনি বলেন, বাজার ইজারাদাররা বেশি মূল্যে বাজার ইজারা নেয়ায় তারা টাকা উঠাতে গিয়ে বেশি খাজনা আদায় করছেন।

এ বিষয়ে ইজারাদার লাল মোহাম্মদ জানান, ইতিপূর্বে যে নিয়মে খাজনা আদায় করা হয়েছে, সে একই নিয়মে খাজনা আদায় করা হচ্ছে, বাড়তি কোন খাজনা নেয়া হচ্ছে না। শাকের আটি প্রতি ৮০ পয়সা করে নেয়া দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত রয়েছে। আমরা সে ধারা অব্যাহত রেখেছি। এছাড়া, খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা পৌরসভা না দেয়ায় টাঙ্গানো যাচ্ছে না।

এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, খাজনা আদায়ের মূল্য তালিকা ইজারাদারকে দৃশ্যমানভাবে বাজারে টাঙ্গানোর জন্য বলা হয়েছে, যাতে কোন্ পণ্যে কত খাজনা নেয়া হচ্ছে ব্যবসায়ীরা জানতে পারবেন। এতে করে বাড়তি খাজনা নেয়ার সুযোগ থাকবে না।


শর্টলিংকঃ