কাজী কামাল হোসেন, নওগাঁ :
চাকুরির প্রলোভন দিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে (২১) কয়েক মাস ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় কথিত প্রেমিক সাফিউল আল মাসুমের (২৯) বিরুদ্ধে ওই ছাত্রী সাভার থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাড়ি মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউ’পির সাবাইহাটে। সে রাজশাহী সরকারি মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।আর মাসুম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার ঘিওন গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী চাকুরির জন্য ‘হ্যালো ডক্টরস বিডি’ তে অনলাইনের মাধ্যমে জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) প্রদান করেন। সিভি থেকে প্রাপ্ত ফোন নম্বর নিয়ে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মাসুম বিভিন্ন সময় ফোনে কথা বলেন। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে তার সাথে পরিচয় হয়। চাকুরি দেয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে মাসুম ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় দেখা করতে বলে। সেখানে তার সাথে দেখা করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে চাকুরির নিয়োগপত্র দেয়ার কথা বলে ঢাকার শ্যামলীতে দেখা করতে বলা হয় ওই ছাত্রীকে। শ্যামলীতে যাওয়ার পর একটি হোটেলের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে সাফিউল আল মাসুম বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন জায়গায় ডেকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতো মাসুম।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি ঢাকার আমিন বাজারে মিম হাউজ নামে তার ভাড়া করা বাসায় বিয়ের কথা বলে ডেকে নিয়ে আবারও ধর্ষন করে মাসুম। ওই বাসায় গত মার্চের ২৯ তারিখ পর্যন্ত স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করে। সেখানে বসবাসের সময় বিয়ের জন্য চাপ দিলে টালবাহানা শুরু করে মাসুম।এ অবস্থায় বিয়ে না করায় ওই ছাত্রী সেখান থেকে রাজশাহী চলে আসে।
পরবর্তীতে সাফিউল আল মাসুম রাজশাহীতে এসে আবারও ওই ছাত্রীকে বিয়ে কথা বলে চট্টগ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে গত ৭ মে অংলকার হোটেলে ওঠে।এতে ওই ছাত্রী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়ে। বিষয়টি মাসুমকে জানালে সে জানিয়ে দেয় গর্ভপাত না তাকে সে বিয়ে করবে না। তার কথা মতো ওই ছাত্রী গত ১০ জুন তারিখে গর্ভপাত করে। কিন্তু এরপরও মাসুম বিয়ে না করে টালবাহানা করছে।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ঘটনাটি ঢাকার সাভার থানায়। ওই ছাত্রীসহ তার পরিবারসহ আমার কাছে এসেছিল। সাভারে মামলা করার জন্য তাদের আইনগত পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।
