- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

চাটমোহর পৌর শহরে গণ শৌচাগারের অভাবে দুর্ভোগে জনসাধারণ


চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি:

পাবনার চাটমোহর পৌর শহরে গণশৌচাগার না থাকায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হওয়া সত্ত্বেও সবাই যত্রতত্র খোলাস্থানে প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

পৌর শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় গণ শৌচাগারের বেহাল দশা

এতে করে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যও চরম হুমকির মুখে পড়েছে। তবে দু’একটি শৌচাগার যা আছে তারও বেহাল অবস্থা। মলমূত্রের বেগ হলে চেপে রাখা কত যে কষ্টকর গণশৌচাগার না পেয়ে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন যারা হয়েছেন তারাই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবেন। অথচ এ ব্যাপারে কোন মাথা ব্যথা নেই পৌর কর্তৃপক্ষের।

জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে স্থাপিত চাটমোহর পৌরসভা প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হয় ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি। শুধু পৌর শহরেই বাস করেন প্রায় ২০ হাজারের অধিক মানুষ। আর উপজেলার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষাধিক। দীর্ঘ পুরনো পৌর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার গণশৌচাগারের অবস্থা করুণ।

টয়লেটের দরজা ভেঙ্গে ও অপরিস্কারের জন্য ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ ও নোংরা পরিবেশের কারণে সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। শুধু পুরাতন বাজারই নয়, পৌর সদরে বাকি দু’টি পাবলিক টয়লেটের চিত্রও একই রকম।

অথচ প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে দাপ্তরিক কাজে, কেনাকাটা, লেখাপড়াসহ নানা বিভিন্ন প্রয়োজনে হাজার হাজার মানুষ শহরে আসেন। আর শহরে এসেই প্রথমে বিপদে পড়তে হয় গণশৌচাগার অভাবে। বাধ্য হয়ে যত্রতত্র খোলাস্থানে মলমূত্র ত্যাগ করতে সবাই। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বিড়ম্বনা শিকার হচ্ছেন।

এছাড়া বিপনি বিতান ও বাজারের মধ্যেও নেই টয়লেট সুবিধা। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগে পড়ছেন ক্রেতা ও ভোক্তারা। এতে করে শহরে বেশ কয়েকটি পয়েন্টে মলমূত্র ত্যাগের স্থানে পরিণত হয়েছে। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে শহরের গলি ও সড়কের পাশে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এর ফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

শুধু তাই নয়, পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়েছে। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে পৌর সদরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে দ্রুত স্বাস্থ্য সম্মত গণশৌচাগার স্থাপনের দাবি সবার।

হারুনর রশীদ, শুকচাঁদ হোসেন, সাগর হোসেনসহ বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। প্রয়োজন দেখা দিলে বেশিরভাগ মানুষই স্থানীয় মসজিদের শৌচাগার বা আশপাশের খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করেন।এটা আমাদের পৌরবাসীর জন্য দুঃখজনক।

গণশৌচাগারের দুরাবস্থার কথা স্বীকার করে চাটমোহর পৌরসভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম জানান, গুরুত্বপুর্ন পয়েন্টে গণশৌচাগার নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী জুনের পর কাজ শুরুর আশ্বাসও দেন তিনি।