চারঘাট ও দূর্গাপুরের আজন্ম যোদ্ধারা পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহার


নিজস্ব প্রতিবেদক:

 ‘‘আজন্ম যোদ্ধা” খেতাব পাওয়া কর্মীদের  বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রধানমন্ত্রীচ শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। আজ চারঘাট ও দূর্গাপুরের আজন্ম যোদ্ধারা পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার।

উপহার সামগ্রীর মধ্যে আছে তরমুজ, আনারস, পেয়ারা, খেজুর, আপেল, মালটা, হ্যান্ডস্যানিটাজার এবং মাস্ক। গত ১২ মে ২০২০ তারিখে হতে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক জিনাতুন নেসা তালুকদারের হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে পর্যায়ক্রম শুরু হয়ে আজ বাগমারা, চারঘাট এবং দূর্গাপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রবীণ, ত্যাগী, দুর্দিনের দলকে আঁকড়ে ধরে থাকা একনিষ্ঠ কর্মী, নিঃস্বার্থ, নির্লোভ, পরিচ্ছন্ন রাজনীতির অধিকারী আজন্ম যোদ্ধাদের ফলমূল সমূহ আসাদ নিজেই তাদের বাসায় দিয়েছেন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী নিয়ে রাজশাহীর আওয়ামী লীগের আজন্ম যোদ্ধাদের হাতে তুলে দেওয়ার সময় আসাদ বলেন, আপনারা দলের দুর্দিনে হাল ধরে ছিলেন বলেই আজ দল সরকারে আছে। আপনাদের অবদান দলে অপরিসীম। যা কখনই কোন ভাবে পরিশোধ যোগ্য নয়।

এক সময় এই দলের নেতাকর্মীরা ভয়ে চলেছে। সংগঠনের কর্মী বাড়াতে পারে নাই। আপনারা সব সময় সাহস দিয়ে আমাদের পাশে থেকে দলের আজকের সুসময় তৈরি করেছেন। দলকে দুর্বল হতে দেন নাই। দলের কর্মীদের পাশে থেকে নিজে অর্থ শ্রম দিয়ে সংগঠনকে তীলে তীলে আজকের এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে আপনাদের অবদান শিরোধার্য।

আপনাদের শ্রম ও সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে ধরে ধরে দলকে গুছিয়ে শক্ত অবস্থনে দাঁড় করিয়েছেন। সেটার সুফল স্বরুপ এখন দল ক্ষমতায় আছে। কিন্তু আপনাদের অবদানের ফলে দল ক্ষমতায় থাকলেও সেই দলের কিছু অর্থ লোভী এবং অযাচিত নেতা ভিড়ে আপনাদের মত মানুষদের তারা খোঁজ খবর রাখতে পারে না। আবার সময় অসময়ে অপমানিত করতেও ছাড়ে না।

আপনাদের খোঁজ খবর রাখার দায়িত্ব দলের নেতা, এমপি এবং মন্ত্রীদের দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু দুঃখের বিষয় তারা আপনাদের মত আওয়ামী লীগকে আঁকড়ে ধরে থাকা আজীবন যোদ্ধাদের কোন খোঁজ খরব রাখার সময় পায় না। এখনও দলের হাইব্রিডদের কারণে আপনাদেরকে অবহেলার শিকার এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অপমানিত হতে হয়।

আপনারা অনেকে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছেন এবং এখন পর্যন্ত দলের জন্য দিয়ে চলেছেন। অথচ এই দলে এখন যারা নেতৃত্বের আসনে তারা সময় পায় না দলের দুর্দিনের ত্যাগী নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখার।

এই সময় প্রবীণ এই মানুষগুলো প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে অনেক উৎফুল্ল হতে দেখা গেছে। তারা ক্ষোভের সাথে মন্তব্য করেছেন যে, অনেক এমপি, মন্ত্রীরা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীদেশরত্ন শেখ হাসিনার দেওয়া খাবার সামগ্রী এবং অর্থ নিজের নাম করে দিয়ে বাহাবা নিচ্ছে। দলের কর্মীদের পাশে না থেকে কর্মীদের ভয় ভীতি দেখানো এবং মামলা মোকদ্দমাও দিয়ে হয়রানি করা হয়। যা দেখে আমাদের মত মানুষগুলো খুবই কষ্ট পায়।

দলের হাল যারা ধরে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং অর্থের দিকে ছুটে। দল গুছাতে তারা অপারগ। কেন তাদের হাতে দায়িত্ব দেয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। যাদের দক্ষতা বলেন আর অভিজ্ঞতা বলেন কোনটিই নাই। তারা কিভাবে সাংগঠনিক কাজ করতে পারবে। সংগঠনে অযোগ্যদের দিয়ে ভরলে দল সঠিক ভাবে চলে না এবং কর্মীদের মূল্যায়নও হয় নাই। এই দিকগুলোতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি দেওয়া উচিত।

এই সময় তার সাথে ছিলেন রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মোখতার হোসন, সাবেক শিক্ষা ও মানব সম্পদ সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম মাষ্টার, চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ফকরুল ইসলাম, সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক প্রভাষক মোঃ শরিফুল ইসলাম।


শর্টলিংকঃ