ইবি প্রতিনিধি:
চালকের আসনে বসে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত আলমসাদু গাড়ি চালাচ্ছিলেন বাবা। গাড়িতে তার দুই ছেলে ও এক ভাতিজা। পথে গাড়ি উল্টে মারা গেলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলে। বুধবার মধ্যরাতে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ঘটেছে মর্মান্তিক এ ঘটনা।
উপজেলার পূর্ব টুনিয়াপাড়া গ্রামের চেয়ারম্যান মোড় নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিহাব আহমেদ। এসময় গাড়ি চালাচ্ছিলেন তার বাবা টুনিয়াপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের।
জানা যায়, শিহাবের বাবা কাঠের গুড়ার ব্যবসা করত। নিজেদের শ্যালো ইঞ্জিন আলমসাদু গাড়িতে করে কাঠের গুড়া নিয়ে মধ্যরাতে বাবার সাথে বাড়ি ফিরছিলেন শিহাব, ছোট ভাই সজিব এবং আরেক চাচতো ভাই। গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন সিহাবের বাবা। সিহাব ও তার ছোটভাই বসেছিলেন সামনে। পথে নিজ গ্রাম পূর্ব টুনিয়াপাড়ার চেয়ারম্যান মোড়ে আসলে সামনে বিড়াল দেখে গাড়ি ব্রেক করে শিহাবের বাবা। তাৎক্ষনিক গাড়ি উল্টে গেলে ওরা দুই ভাই গাড়ির নিচে চাপা পড়েন।
নিজ সন্তানদের এমন অবস্থা দেখে তার সড়কে বেহুশ হয়ে পড়েন বাবা। রাত গভীর হওয়ায় তাদের সাহায্য করার মতো আশেপাশে কোন লোক ছিল না। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সিহাব। তবে দুর্ঘটনায় গাড়িতে থাকা অন্যরা সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ তানোরে সরকারি গুদামের ৬০ মেট্রিকটন ধান গায়েব, গুদাম সীলগালা!
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আজ বেলা ১১ টায় নিজ গ্রাম পূর্ব টুনিয়াপাড়া জামে মসজিদে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে তাকে পূর্বটুনিয়াপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এদিকে শিহাবের মৃত্যুতে তার পরিবার, এলাকাবাসী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু ও শিক্ষকদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। আইন বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক আনিচুর রহমান নিহত শিহাব সম্পর্কে বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে সিহাবকে চিনতাম। ও খুব ভদ্র, বিনয়ী ও মেধাবী ছিল। তার এ অকাল মৃত্যু খুবই দুঃখজনক। আমরা অপার সম্ভাবনাময়ী এক মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারালাম।’