চিকিৎসকদের মুখে দিল্লির তাবলীগ জামাতের থুতু!


ইউএনভি ডেস্ক:

দিল্লির নিজামুদ্দিনের সমাবেশে থাকা অনেকেই করোনা আক্রান্ত। সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে যথেষ্ট। তাই বর্তমানে তাঁদের বেশ কয়েকজনকে উত্তর পূর্ব দিল্লিতে রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল নিজামুদ্দিনের জমায়েতকারীদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের লক্ষ্য করে থুতু ছোঁড়ে তারা। রোগ সংক্রমণের আশঙ্কায় কাঁটা স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলেই আশ্বাস সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।

দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত বিভিন্ন মহল। সেই পরিস্থিতিতে জটিলতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিন মসজিদের জমায়েত। বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের জমায়েতে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা যে বেড়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই অবস্থায় আবার জমায়েতে থাকা ব্যক্তিদের খারাপ ব্যবহার আরও চিন্তা বাড়াচ্ছে।

অভিযোগ, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে জমায়েতকারীদের বাসে করে আনা হয়। সেই সময় তারা বাসের বাইরে থুতু ফেলেন। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও লাভ কিছুই হয়নি। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ঢোকার পরেও একইরকম আচরণ করে তারা। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মুখেও থুতু দেয়। বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, হাঁচি-কাশির সময় মুখ থেকে বেরনো থুতুর মাধ্যমে ছড়াতে পারে মারণ ভাইরাস। তাই তারপরেও এ ধরনের আচরণে মারণ ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি বলেই মনে করা হচ্ছে। এই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের আশেপাশেও রয়েছে বসতি এলাকা। তাই রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন সকলেই।

নর্দান রেলওয়ের মুখপাত্র দীপক কুমার বলেন, “কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে দেওয়া খাবারদাবার খেতে চাইছেন না তারা। চিকিৎসকদের কোনও কথাই শুনছেন না। গৃহবন্দি অবস্থাতেও থাকতে চাইছেন না। পরিবর্তে অশান্তি তৈরি করছেন। স্বাস্থ্যকর্মী এবং চিকিৎসকদের লক্ষ্য করে থুতু ছুঁড়ছেন। আমরা জেলাশাসককে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছি। নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেছি।”

নতুন করে যাতে কোনও অশান্তি না হয় সেদিকে অবশ্য খেয়াল রেখেছে দিল্লি পুলিশ। ইতিমধ্যে ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ৪ জন পুলিশ কনস্টেবল এবং ৬ জন সিআরপিএফ জওয়ান।


শর্টলিংকঃ