চীনে করোনা রোধে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নজরদারী


ইউএনভি ডেস্ক: 

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দূর করতে দেশজুড়ে অত্যাধুনিক নজরদারী প্রযুক্তি ব্যবহার করছে চীন। উচ্চমানের নজরদারী ক্যামেরা, যন্ত্র ও তথ্য ব্যবস্থাপনা সফটওয়্যার ব্যাবহার করে এমন এক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি তারা প্রয়োগ করছে, যাতে সহজেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সম্ভাব্য ব্যক্তিদের সনাক্ত করা যায়।নাগরিকদের স্মার্টফোনের প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত পুলিশকে দিতে কিংবা সম্ভাব্য রোগীর ব্যাপারে তথ্য বিনিময়ে সরকারের সঙ্গে কাজ করছে চীনা প্রতিষ্ঠান আলিবাবা।রাস্তা, স্থাপনা ও জনসমাগমের জায়গাগুলোতে পর্যাপ্ত ক্যামেরা আগে থেকেই ছিল।

কিন্তু বেশিরভাগ জায়গা ক্যামেরার আয়ত্তে আনা, সেখানকার ফুটেজগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পর্যবেক্ষণ করা, তাৎক্ষণিকভাবে সন্দেহভাজন রোগী সনাক্ত করা- এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এর জন্য দেশটিতে চেহারা সনাক্তকরণ ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে নাগরিকদের স্মার্টফোনে বিশেষ সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে সহজেই কোনো ব্যাক্তিকে ক্যামেরায় সনাক্তের পর তার সর্বশেষ অবস্থান জানা যায় বা তাকে পুরোপুরি নজরদারী করা যায়।নির্ধারিত জায়গায় ক্যামেরা বসানোর পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি প্রক্রিয়া চালাচ্ছে চীন। করোনা প্রতিরোধে এ পদ্ধতি বেশ কাজে দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন চীনা কর্মীরা। এসব পদক্ষেপের কারণে করোনা প্রাদুর্ভাব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

নজরদারি পদ্ধতিতে ব্যবহৃত ক্যামেরা ও ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার যেকোনো ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা ও শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারে। কেউ যদি মাস্কও ব্যবহার করেন, এর পরও তার শারীরিক অবস্থার তথ্য এ সফটওয়্যারে ধরা পড়বে।এর আগে, উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশে চালু করা নজরদারী পদ্ধতির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে করোনা প্রতিরোধে আরো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে চীন।করোনা প্রতিরোধ করতে গিয়ে চীনকে যেসব সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আর এর জন্য যে যে পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে, এর ফলশ্রুতিতে তাদের নজরদারী পদ্ধতির আধুনিকায়নই হচ্ছে; বলা যায়।


শর্টলিংকঃ