Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে কোপালেন আরেক নেত্রী


রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে এক নেত্রীকে কুপিয়ে আহত করলেন আরেক নেত্রী। হলে বহিরাগত ছাত্রী রাখা নিয়ে শনিবার ভোরে ছাত্রলীগের দুই নেত্রীর মধ্যে সংঘর্ষের সময় এই কোপানোর ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পর কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বামে রূপা, ডানে তামান্না

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবা নাসরিন রূপা বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের ২১৯ নং কক্ষে নাবিলা নামের একজন বহিরাগত শিক্ষার্থীকে (প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের) টাকার বিনিময়ে রাখতেন। তাকে রাখাকে কেন্দ্র করে হলে অন্য নেত্রীদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রূপা তার অনুসারীদের নিয়ে অন্য নেত্রীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় রূপা সাবিকুন্নাহার তামান্নার হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেন।

মাহবুবা নাসরিন রূপা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়। সাবিকুন্নাহার তামান্না ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, তার বাড়ি বরগুনা জেলায়।

ঘটনার পরপরই ইডেন কলেজে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে ইডেন কালেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রূপা বলেন, আমরা এমন কোনো সমর্থক তৈরি করিনি, যারা শিক্ষার্থীদের মারধর করবে। ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আঞ্জুমান আরা অনুর সর্মথকরা বঙ্গমাতা হলে গিয়ে আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। পরে হলের ২০৮ নম্বর কক্ষে গিয়ে আমার আইফোন এবং সাত হাজার পাঁচশত টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, প্রথম আমি খবর পেয়েছিলাম তারা নাবিলা নামে একটি মেয়েকে মারধর করেছে। পরে আমি সেখানে গেলে তারা আমার ওপরও হামলা চালায়।

এ বিষয়ে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আঞ্জুমান আরা অনু বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাসে ছিলাম না। ঘটনার পরে এসেছি। সিসিটিভির ফুটেজ আছে। আপনি ইডেন কলেজের অধ্যক্ষের কাছে এ বিষয়ে জানতে পারেন।’

লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আশরাফ উদ্দিন বলেন, আমরা শুনেছি হলে মেয়েদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়েছেন।


Exit mobile version