জঙ্গি হামলার শঙ্কা পুলিশের


ইউএনভি ডেস্ক:

দেশের যেকোনো স্থানে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে পুলিশ। বিমানবন্দর, পুলিশের স্থাপনা, দূতাবাস এবং সব উপাসনালয়ের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে সারা দেশের পুলিশের ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

এ ছাড়া শহর ও শহরতলি এলাকার ভাড়াটেদের তথ্য সংগ্রহ এবং স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং মাদ্রাসা ও এতিমখানার ওপর নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানায়, পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) কথিত ‘বেঙ্গল উলায়াত’ ঘোষণার উদ্যোগ নিয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

আঞ্চলিক ঘটনাপ্রবাহ অনুযায়ী সাধারণত কোনো সন্ত্রাসী হামলার মাধ্যমেই উলায়াত ঘোষণা করা হয়। তাই আইএস সংগঠনগুলোর সদস্যরা বোমা হামলার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ড সংঘটনসহ বিভিন্ন নাশকতামূলক বা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারে।

পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বেঙ্গল উলায়াত বলতে সংগঠনটির বাংলাদেশ শাখা বোঝানো হয়েছে। গণমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এবং নিজেদের সদস্যদের উজ্জীবিত করতে বিভিন্ন সময়ে তারা এ ধরনের শাখা ঘোষণা করে থাকে।

তাঁর মতে, আরবি জিলহজ মাসে হামলা করাকে জঙ্গিরা বিশ্বব্যাপী অধিকতর পুণ্যের কাজ বলে মনে করে। তাই এই মাসে সব সময়ই হামলার একটা আশঙ্কা থেকে যায়। মাসটি ঘিরে তাই সব সময়ই পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জঙ্গি হামলা মোকাবিলায় সতর্ক অবস্থান নিতে ১৯ জুলাই পুলিশের সারা দেশের ইউনিটপ্রধানদের সতর্ক থাকতে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। চিঠিতে বলা হয়েছে, সকাল ৬টা থেকে ৮টা বা সন্ধ্যা ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে হামলা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু হিসেবে পুলিশ সদস্য, পুলিশের স্থাপনা ও যানবাহন, বিমানবন্দর, দূতাবাস, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও মিয়ানমার বা এসব দেশের স্থাপনা ও ব্যক্তি এবং শিয়া ও আহমদিয়া মসজিদ, মাজারকেন্দ্রিক মসজিদ, মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডাকে উল্লেখ করা হয়েছে।

বলা হয়েছে, হামলাকারীর সম্ভাব্য বয়স হবে ১৫ থেকে ৩০ বছর। হাতে তৈরি সময় কিংবা দূরনিয়ন্ত্রিত গ্রেনেড, বোমা, ক্ষুদ্রাস্ত্র কিংবা ছুরি-চাপাতি দিয়ে হামলা হতে পারে।


শর্টলিংকঃ