- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

জনশুন্য রাজশাহীর পথঘাট : করোনা সতর্কতায় সেনা টহল


নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনা সতর্কতায় সরকার ঘোষিত ছুটির প্রথমদিনে জনশুন্য হয়ে পড়েছে রাজশাহীর পথঘাট। সকাল থেকে টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাইকিংও করছেন সেনাসদস্যরা। জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক জানিয়েছেন, একজন মেজরের নেতৃত্বে সকাল থেকে সেনাসদস্যদের একটি টিম মাঠে রয়েছে।  

রাজশাহী নগরীতে সেনাসদস্যদের টহল ও মাইকিং

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই প্রতিবেদক রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার জিরোপয়েন্ট, নিউমার্কেট, শিরোইল বাসস্ট্যান্ড, শহীদ কামারুজ্জামান চত্ত্বর, বর্ণালী মোড়, লক্ষ্মীপুর মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি একেবারেই কম বলে দেখতে পান। গণপরিবহন বন্ধ।   নগরীতে রিকশা ও অটোর সংখ্যাও নগণ্য। সকল মার্কেট ও দোপানপাট বন্ধ। তবে খাবার. ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যেন দোকান খোলা আছে। সিটি কর্পোরেশন এর তরফ থেকে নগরীর রাস্তায় জীবানুনাশক তরল গাড়ির মাধ্যমে ছিটানো হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আজ থেকে আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। গণপরিবহনসহ সব ধরনের পরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাজধানীসহ দেশের মানুষকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মোড়ে টহল দেয় সেনাবাহিনীর কয়েকটি গাড়ি। এসময় জনসচেতনতা তৈরি মাইকিং করেন তারা। বিশেষ করে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের না হতে ও একজনের থেকে আরেকজনের নির্দিষ্ট দূরত্ব  বজায় রাখার আহ্বান জানান।  একইসাথে করোনা সতর্কতায় স্বাস্থ্যবিধি সকলকে মেনে চলারও পরামর্শ দেয়া হয়।

জনশুন্য রাজশাহী নগরীর জিরোপয়েন্ট। আজ সকালে তোলা ছবি

 

এদিকে, মহান স্বাধীনতা দিবস আজ। কিন্তু অন্যান্য বছর মহান স্বাধীনতা দিবসের  কোনো আয়োজন নেই । বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, উচ্চস্বরে দেশাত্মবোধক গান বাজে। আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন সবাই। কিন্তু আজ মাইকের কোনো শব্দ নেই। নেই মানুষের পদচারণা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়ে নিজেরাই সচেতন হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। সরকারিভাবেও প্রয়োজন ছাড়া ঘরেই অবস্থান করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ৩৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোগতত্ত্ববিদ ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখলে এ রোগটি ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে কারণেই স্বাধীনতা দিবসের প্রায় সব অনুষ্ঠান বাতিল করে সরকার।