Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব: চাচা-ভাতিজা ও মামা-ভাগ্নের নামে ধর্ষণ মামলা


 দুর্গাপুর প্রতিনিধি:

জমি নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একই পরিবারের চার জনের নামে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দেয়া হয়েছে।আসামীরা সম্পর্কে চাচা-ভাতিজা ও মামা-ভাগ্নে। এ ধরনের মামলায় চাচা-ভাতিজা ও মামা-ভাগ্নেকে আসামী করায় ওই এলাকায়  হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সাঁকোয়া গ্রামে। দুর্গাপুর থানায় মামলাটি দায়ের হওয়ার পর পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে দেখছে। পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

 

ছবি: প্রতীকী

 

 

জানা গেছে, দুর্গাপুর উপজেলার সাঁকোয়াগ্রামের মৃত মুনছের আলীর পুত্র সাক্কেল আলীর সাথে একই গ্রামের কামাল আলীর পুত্রমহব্বত আলীর সাথে প্রায় এক বছরধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলাও দায়ের হয়েছে। মামলা গুলো বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে। জমিজমার বিষয়ে দায়ের করা মামলায় মহব্বত আলীকে দমাতে না পেরে সাক্কেল আলীতার এক নারী আত্মীয়কে দিয়ে গত ২৬ আগষ্ট প্রতিপক্ষ মহব্বত আলীর পুত্র মাহাবুর রহমান, মাহাবুর রহমানের ভাতিজা পিয়ারুলইসলাম, পিয়ারুলের চাচা ফারুক হোসেন ও ফারুক হোসেনের মামা নবীবর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায়ধর্ষন চেষ্টারমামলা দায়ের করে।

মামলার এজাহারে ভিকটিম নারী উল্লেখ করেন, ১৫ আগষ্টরাত দেড়টার দিকে ভিকটিম তার নিজঘরে ঘুমিয়েপড়েন। এ সময় আসামীরা তার  ঘরে প্রবেশ করে মুখ চেপেধরে তাকে ধর্ষণের চেষ্টাচালায়। তবে কিভাবে আসামীরা তার ঘরে প্রবেশ করেছে সে বিষয়টি উল্লেখ  করা হয়নি এজাহারে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে গেলে ভিকটিমনারী জানালা ভেঙ্গে আসামীরা তার ঘরে ঢুকেছে বলে জানায়। এ সময় পুলিশ ভাঙ্গা জানালা পরিদর্শনকরতেগিয়ে দেখতে পান শুধু মাটি দিয়ে  তৈরি ঘরের একটি জানালার নিচের অংশের বাইরের পাশের মাটি সামান্য কাটা রয়েছে। তাতে পুরো জানালা খোলা সম্ভব না। ওই অবস্থায় ওই জানালা দিয়ে বাইরে থেকে কারো প্রবেশও সম্ভব না ।পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৬ আগষ্ট থানায় একই পরিবারের চারজনকে আসামী করে ধর্ষণ চেষ্টারমামলা দায়েরকরে ওই নারী।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খুরশীদা বাণু কণা জানান, মামলাটির তদন্তভার একজন এসআইকে  দেয়া হয়েছে । পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে প্রতিপক্ষদের ফাঁসাতে মামলাটি দায়ের করা হতে পারে। বিষয়টি সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা পেতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলেও জানান ওসি কণা।

 


Exit mobile version