Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

জাবির হলে ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখা সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশু উদ্ধার


ইউএনভি ডেস্ক:

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজির হলের একটি কক্ষ থেকে নবজাতক উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নবজাতকের মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৬তম ব্যাচে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রী।

হলের শিক্ষার্থী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর আড়াইটার দিকে ওই ছাত্রীর রুমমেট ও আশেপাশের কক্ষের শিক্ষার্থীরা তার প্রসব বেদনার কথা জানতে পারেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে জানালে নার্স এসে তাকে এনাম মেডিকেল কলেজে নিতে বলেন।

কিন্তু এর আগেই সন্তান ভূমিষ্ট হলে, কাউকে না জানিয়ে ট্রাঙ্কে তালাবদ্ধ করে রাখেন তিনি। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীকে এনাম মেডিকেলে নেয়ার পর তার কক্ষে নবজাতকের কান্নার আওয়াজ পান অন্য শিক্ষার্থীরা।

খোঁজাখুজি করে কক্ষে থাকা ট্রাঙ্ক থেকে তালা ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করে হল প্রশাসন। পরে নবজাতককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এনাম মেডিকেল পাঠান।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, ‘নবজাতককে যখন মেডিকেলে আনা হয়, তখন তার শরীর সম্পূর্ণ নীল রং ধারণ করেছিল। অক্সিজেন দিয়ে স্বাভাবিক করে এনাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এখন বাচ্চাটি সুস্থ আছে বলে জানতে পেরেছি।’

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, ‘ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে হলে যাই। কান্নার আওয়াজের ভিত্তিতে কক্ষের ট্রাঙ্ক ভেঙে নবজাতককে উদ্ধার করি এবং এনাম মেডিকেলে নিয়ে যাই।’

নবজাতক ট্রাঙ্কে লুকিয়ে রাখার ঘটনায় অপরাধ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তথ্য গোপন করাটা অপরাধ। অনেক বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারতো। এই ঘটনা তদন্তে হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক লাবিবা খাতুন তানিয়াকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’-সূত্র: পরিবর্তনডটকম


Exit mobile version