কষ্টে উপার্জিত পলিসিহোল্ডার ও শেয়ারহোল্ডারদের ১৫৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা অবৈধ ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করেছে ২৭ জীবনবিমা কোম্পানি। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নয় মাসে (তিন প্রান্তিক) এমডি-চেয়ারম্যান এবং পরিচালনা-পরিষদের সমন্বয়ে এ টাকা হজম হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনে এ চিত্র বেরিয়ে এসেছে।
বিমা বিধিমালা ১৯৫৮ এর ৩৯ বিধি অনুসারে, জীবনবিমা কোম্পানি প্রথম বর্ষে ব্যবসার জন্য ব্যস্থাপনা ব্যয়ের সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ ব্যয় করতে পারবে। এ আইন মোতাবেক কোম্পানিগুলোর ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কিন্তু ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়েছে ২ হাজার ২৩১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ ১৫৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বেশি ব্যয় করেছে কোম্পানিগুলো। যা আইনের লঙ্ঘন।
সূত্র মতে, বিমা খাতে মোট ৩২টি লাইফ কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি কোম্পানি প্রথম প্রান্তিকে ৫৪ কোটি ৯ লাখ, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩২ কোটি ৪৫ লাখ এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ৬৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা করে সর্বমোট ১৫৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বেশি ব্যয় দেখিয়েছে।
আর এ অবৈধ ব্যয়ের শীর্ষে রয়েছে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটি তিন প্রান্তিকে ৪৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা বেশি ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়েছে। গত ৯ মাসে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ ব্যয় দেখিয়েছে ১৭৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। কিন্তু কোম্পানিটি নিয়ম অনুসারে ব্যয় করতে পারে ১৩২ কোটি ৮ লাখ টাকা।
এরপর শীর্ষে রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবনবিমা করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের ১৩৩ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যবস্থাপনা ব্যয় দেখিয়েছে। নিয়ম অনুসারে কোম্পানিটি ব্যয় করতে পারতো ৮৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ ৪৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বেশি ব্যয় দেখিয়েছে।