জুমায় সীমিত মুসল্লি আসার আহবান ইফার


করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশের বিশিষ্ট আলেমদের পরামর্শ মোতাবেক জুমার নামাজসহ সকল জামাতে সীমিত মুসল্লি আসার আহবান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)। এছাড়া ভাইরাস সংক্রমণ সুরক্ষা শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কোনো মুসল্লিকে মসজিদে না যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাতে এক ক্ষুদে বার্তায় এ আহবান জানানো হয়। অন্য আরেক বিজ্ঞপ্তিতে যাদের হাঁচি, কাশি কিংবা জ্বর রয়েছে তাদেরকে বাসায় বসে জুমার পরিবর্তে জোহরের নামাজ পড়ার পরামর্শ দিয়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সেই সঙ্গে বয়স্ক মুসল্লিদের করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আপাতত কিছুদিন সব নামাজ বাসায় পড়তে অনুরোধ জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার প্রেক্ষাপটে ইসলামের বিধি-বিধান অনুসরণের বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট আলেমগণের সঙ্গে বৈঠকে বসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। পরে ইফার মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানানো হয় বুধবার (২৫ মার্চ)।

বিজ্ঞপ্তিতে যাদের হাঁচি, কাশি কিংবা জ্বর রয়েছে তাদেরকে বাসায় বসে জুমার পরিবর্তে জোহরের নামাজ পড়ার পরামর্শ দিয়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সেই সঙ্গে বয়স্ক মুসল্লিদের করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আপাতত কিছুদিন সব নামাজ বাসায় পড়তে অনুরোধ জানানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার প্রেক্ষাপটে ইসলামের বিধি-বিধান অনুসরণের বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট আলেমগণের সঙ্গে বৈঠকে বসে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। পরে ইফার মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই বৈঠকের বিষয় সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানানো হয় বুধবার (২৫ মার্চ)।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি ও সরকারের করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বিশিষ্ট আলেমরা মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আগারগাঁওস্থ প্রধান কার্যালয়ে মিলিত হয়ে পবিত্র কোরআন-সুন্নাহর আলোকে মহামারি ও দুর্যোগকালীন সময়ে ইসলামের বিধি-বিধান অনুসরণের বিষয়ে জনগণের প্রতি নিম্নরূপ আহ্বান জানিয়েছেন-

ক. করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে এবং মানুষের ব্যাপক মৃত্যুঝুঁকি থেকে সুরক্ষার জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে সব ধরনের জনসমাগম বন্ধের পাশাপাশি মসজিদসমূহে জুমা ও জামাতে মুসল্লিদের উপস্থিতি সীমিত রাখা,
খ. মসজিদ বন্ধ থাকবে না, তবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হতে সুরক্ষা নিশ্চিত না হয়ে মসজিদে গমন না করা,
গ. সরকার ও বিশেষজ্ঞগণ সতর্কতার জন্য যেসব নির্দেশনা প্রদান করছেন তা মেনে চলা ও
ঘ. সবাইকে অপরাধমূলক কাজকর্ম থেকে বিরত হয়ে ব্যক্তিগতভাবে তওবা-ইস্তিগফার ও কোরআন তেলাওয়াত অব্যাহত রাখা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- হাইয়াতুল উলইয়ার ভারপ্রাপ্ত কো-চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, মারকাযুদ দাওয়ার শিক্ষা সচিব মুফতি মুহাম্মাদ আবদুল মালেক, শায়েখ জাকারিয়া রহ. ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের মহাপরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ, মিরপুর আকবর কমপ্লেক্সের মুহতামিম মুফতি দিলাওয়ার হুসাইন, জামিয়া রাহমানিয়ার মুহতামিম মুফতি মাহফুজুল হক, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা কাফিলউদ্দীন সরকার সালেহি, ইদারাতুল উলুম আফতাবনগরের মুহতামিম মুফতি মুহাম্মাদ আলী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবদুর রাজ্জাক আল আজহারি, ভূমিপল্লী আবাসন জামে মসজিদের খতিব শায়খ আহমাদুল্লাহ, বড় কাটারা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি সাইফুল ইসলাম মাদানি, মহাখালী হোছাইনিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. নজরুল ইসলাম আল মারুফ, তেজগাঁও জামিয়া ইসলামিয়ার শায়খুল হাদিস ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মিজানুর রহমান, পেশ ইমাম মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভি, পেশ ইমাম মহিউদ্দিন কাসেম, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালিউর রহমান খান ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী। এছাড়া বৈঠক থেকে টেলিফোনে দেশের বিভিন্ন জেলার বিজ্ঞ আলেমদেরও মতামত নেওয়া হয়।

করোনা সংক্রমণ রোধে আরব বিশ্বসহ অনেকে দেশেই বর্তমানে মসজিদে জামাত বন্ধ রয়েছে। ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগ যে দুইজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, সন্দেহ করা হচ্ছে তারা মসজিদ থেকেই সংক্রমিত হয়েছিলেন। তাই দেশবাসীর সকলের স্বার্থে জুমার নামাজের জামাত মসজিদে সীমিত আকারে করার আহবান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এদিকে, দেশে করোনাভাইরাসে নতুন করে আরও পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ জনে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরও চারজন। সবমিলিয়ে ১১ জন সুস্থ হয়েছেন, মারা গেছেন ৫ জন।


শর্টলিংকঃ