পুঠিয়ায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুষ্ঠানকে ঘিরে উত্তেজনা


পুঠিয়া প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়ায় একটি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর আগমন উপলক্ষে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তেজনার বিষয়টি স্থানীয় আ’লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

 জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান
জানা গেছে, আগামীকাল সোমবার (২০ জানুয়ারী) সকালে পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও নতুনদের বরণ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন পুঠিয়া-দুর্গাপুর সাংসদ ডাঃ মনসুর রহমান। আর বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার। এছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন।

এদিকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের আগমন উপলক্ষে স্থানীয় আ’লীগের এক অংশের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ্যে রুপ নিয়েছে। ক্ষোভের অংশ হিসাবে তাদের মধ্যে অনেকেই ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে সংঘাতের বিষয়টি হুমকি স্বরুপ উল্লেখ করেছেন। তারা ফেইসবুকে যা লিখেছেন তা হুবহু তুলে ধরা হলো “রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার, আপনি পুঠিয়ার নেতাকর্মীদের ইফতার কেড়ে নিয়েছিলেন সেই পুঠিয়াতে কোন লজ্জায় আসবেন? কেন মোহাম্মদ আলী সরকারকে চিপগেষ্ট করা হচ্ছে? এখানে ঐসব লাঞ্চিত তৃর্ণমূল এর কর্মীরা যদি জুতা মারেন তাহলে কি ভুল হবে? যে মানুষ রোজাদারেরইফতার কেড়ে নেয় সে কেমন নেতা? তার আবার তাবিদারী করি আমরা হায়রে রাজনীতি! তাই আসবেন না পুঠিয়াতে, আসলে পিঠের চামড়া থাকবে না।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

এ বিষয়ে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাবেক জেলা আ’লীগের সংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ বলেন, আগামীকাল সোমবার সকালে স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় নতুনদের বরণ করা হবে। সেই সাথে প্রতিষ্ঠানের দু’জন শিক্ষক অবসর নিয়েছেন তাদের সম্মান জানানো হবে। সে উপলক্ষে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে এমপি মহদয়, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহেবসহ অনেকই উপস্থিত থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে গত দু’দিন থেকে অনেককেই দেখছি ফেইসবুকে বিভিন্ন কথাবার্তা লিখছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য ও পুঠিয়া উপজেলা আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবুল ফজল বলেন, জেলা পরিষদ কর্তৃক প্রতি বছরের ন্যায় গত রমজান মাসেও মহানগরের একটি হোটেলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। সে ইফতার মাহফিলে উপজেলা চেয়ারম্যানের কয়েকজন সফর সঙ্গীও যোগদান করেন।

এক পর্যায়ে ওই সফর সঙ্গীরা ইফতারের প্যাকেট নিয়ে হোটেল ত্যাগ করতে চাইলে ওই হোটেলের কর্মরত লোকজন তাদের বলেন অনুষ্ঠান স্থলে ইফতার শেষ করতে। বাহিরে প্যাকেট নিয়ে যাওয়া নিষেধ আছে। সে সময় চেয়ারম্যানের সফর সঙ্গীরা প্যাকেট রেখে বাহিরে চলে আসে। এর পরের দিন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আমি তাদের নিকট ক্ষমাও চেয়ে ছিলাম। চেয়ারম্যান সাহেব পুঠিয়াতে একটি অনুষ্ঠানে যোগদান উপলক্ষে ফেইসবুকে গত দু’দিন থেকে নানা কথাবার্তা লিখে হুমকি দেয়া হচ্ছে। বিষয়টি আমরা সমঝোতার চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন ‘ইউনান ইউনিভার্সিটি’ প্রকৃতিঘেরা অনিন্দ্য সুন্দর বিদ্যাপীঠ


শর্টলিংকঃ