টসের কারণেই হোয়াইটওয়াশ: ডু প্লেসি


দেশে ফিরে গিয়ে ফ্যাফ ডু প্লেসি সেই টস জিততে না পারাকেই দায়ী করলেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি টেস্ট ম্যাচেই ভারত আগে ব্যাট করেছে। স্কোরবোর্ডে ৫০০ রান তুলে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে প্রায় অন্ধকারে। আর অন্ধকারের মধ্যেই ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছে প্রতিবার। এর ফলে তৃতীয় দিনের শুরুতেই আমরা চাপে পড়ে যাই। প্রতিটি টেস্ট ম্যাচেই একই কৌশল কপি এবং পেস্ট করা হয়েছে।’ টেস্ট সিরিজে ভারতের মাটিতে এসে বিরাট কোহলিদের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যার তিনটিতেই টস হেরেছিল প্রোটিয়ারা এবং শেষ দুই টেস্টে তো ইনিংস পরাজয় বরণ করতে হয়েছে তাদেরকে।

এরপরই দেশে ফিরে গিয়ে প্রোটিয়া অধিনায়ক হোয়াইটওয়াশ হওয়ার কারণ হিসেবে টস না জেতাকেই বড় করে দেখালেন। বিশাখাপত্মনম, পুনে ও রাঁচিতে অনুষ্ঠিত তিনটি টেস্টে ভারত টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রানের পাহাড় গড়ে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নেমে দ্রুত উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায়। ধারাবাহিকভাবে কোনও প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানই রান করতে পারেননি।

একের পর এক টস হারার কারণে রাঁচিতে ডু প্লেসিস একজন ছায়া অধিনায়ক (টেম্বা বাভুমা) নিয়ে মাঠে নেমেও টস জিততে পারেননি তিনি। অর্থ্যাৎ, টানা ১০ ম্যাচ টস জিততে না পারার আক্ষেপে পুড়তে হলো প্রোটিয়া অধিনায়ককে।

টেস্ট সিরিজে ডু প্লেসির ব্যাট কথাই বলতে পারেনি। সদ্য সমাপ্ত সিরিজের ছয় ইনিংসে তিনি করেন মাত্র ১৪২ রান। শুধু ব্যাট হাতেই নয়, উপমহাদেশের মাটিতে টানা ১০টি টেস্ট ম্যাচে টস হারতে হয় তাকে।

ভারতের মাটিতে টস জেতা ভিষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। টেস্টে টস-প্রথা তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী ডু’প্লেসি বলেন, ‘টস না হলে সফরকারী দল সুবিধা পাবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় আমার কোনো সমস্যা নেই। অবস্থা যাই হোক, আমাদের সবুজ উইকেটেই ব্যাট করতে হয়।’


শর্টলিংকঃ