- ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ - https://universal24news.com -

টাকা নেয় স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আর সীল মারে কসাই


আবু হাসাদ কামাল, পুঠিয়া  :
রাজশাহীর পুঠিয়ায় কোনো প্রকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রতিদিন জবাই করা হচ্ছে পশু। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কসাইরা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রোগাক্তান্ত পশু কম দামে কিনে রাতের আঁধারে তা জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন। তবে স্যানিটারী পরিদর্শক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই মসোয়ারা আদায় করেন। আর পরীক্ষা ছাড়াই সীল মারেন কসাই।

জানা গেছে, প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কসাইখানা গুলোতে গরু, মহিষ, ভেড়া ও ছাগল জবাই করা হয়। এর মধ্যে বানেশ্বর হাট, ঝলমলিয়া হাট, বেলপুকুর ও ধোপাপাড়া বাজারে সবচেয়ে বেশী পশু জবাই করা হয়। স্থানীয় কসাইরা কোনো প্রকার স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই রাতের আধারে জবাইকৃত পশু গুলোর মাংশ বিক্রি করছেন।

বানেশ্বর হাটের কসাই আব্দুল বারিক বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে খুব ভোর থেকে মাংশ বিক্রি শুরু হয়। যার করণে আমাদের কখনো কখনো মধ্যে রাতে পশু জবাই করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করতে হয়। এতো রাতে বিভিন্ন হাট গুলোতে স্যানিটারী কিভাবে আসবে, তাই আমরাই মাঝে মধ্যে জবাইকৃত পশুর মাংশে পরিদর্শন সীল মারি। আর সে জন্য স্যানিটারীকে প্রতিটি ছাগল-ভেড়ার জন্য ৫০ টাকা, গরুর জন্য ১০০ টাকা ও মহিষের জন্য ১৫০ টাকা দিতে হয়। তবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই কিভাবে পশু জবাই করেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরাতো ভালো গরু-ছাগল জবাই করি। এর জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার কি দরকার। নিয়মিত টাকা দিলে আর কোনো ঝামেলা হয় না।

পৌরসভা স্যানিটারী পরিদর্শক মামুন-অর রশিদ বলেন, আমি আর এখন পরিদর্শন করি না। তবে দীর্ঘদিন থেকে পৌরসভা এলাকাতেও উপজেলা স্যানিটারী পরিদর্শক দেখা শুনা করছেন।
তবে উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বলেন, আমার দায়িত্ব পশুর মাংশ কোন পরিবেশে বিক্রি হচ্ছে সেটা দেখা। জবাইকৃত পশু ভালো কি মন্দ সেটা দেখার দ্বায়িত্ব উপজেলা প্রাণী ও পশু সম্পদ বিভাগের। আর কোনো কসাই যদি পশুর মাংশে পরিদর্শন সীল নিজের ইচ্ছায় মেরে থাকেন তাহলে সেই দায়িত্ব তাদের। আর এ জন্য আমি নিজে কসাইখানা থেকে কোনো টাকা-পয়সা গ্রহণ করি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী ও পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোখলেছুর রহমান বলেন, পুঠিয়ার কোনো কসাইরা পশু জবাইয়ের পুর্বে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান না। আর প্রতিটি কসাইখানা গুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষারও কোনো ব্যবস্থা নেই।