ট্রাম্পের টুইটকে কেন অসত্য বলছে টুইটার !


ইউএনভি ডেস্ক

নির্বাচন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুটি টুইট করেছিলেন। সেই টুইট দুটির নিচে ‌‘ফ্যাক্ট চেকিং ট্যাগ’ সেঁটে দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। সেখানে ক্লিক করলে লম্বা একটা পেজ আসছে, যাতে দেখা যাচ্ছে ট্রাম্প যে দাবি করছেন তা আসলে অসত্য। টুইটার প্রকৃত খবর যাচাই করতে বলছে সবাইকে।

টুইট করা নিয়ে ট্রাম্পের জুড়ি নেই। টুইটার তার প্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম। যখন যা ইচ্ছে মনে হয় তাই সেখানে লিখে জানান দেন তার ৮ কোটির বেশি অনুসারীকে। বিবিসি বলছে, প্রথমবারের মতো বিশ্বের ক্ষমতাধর এই প্রেসিডেন্টের টুইটে ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ লেবেল সেঁটে দিল টুইটার কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণ এড়াতে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অধিকাংশ নাগরিক ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে চান না; সাম্প্রতিক এক জরিপে এমন তথ্য প্রকাশের পর এখন ‘মেইল ইন বক্স’ পদ্ধতি নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে। এটার প্রয়োগ করা যায় কিনা তা নিয়েও আলোচনা চলছে দেশটিতে।

এ নিয়ে ট্রাম্প তার টুইটে লেখেন, ‘কোনো উপায় নেই (শূন্য!) মেইল-ইন ব্যালটগুলো ব্যাপক জালিয়াতির চেয়ে কম কিছু হবে না।’ ব্যালট ছিনতাই এবং জালভোট বাড়বে বলে দাবির পর ট্রাম্পের মন্তব্যকে রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিবেচনা করে তাতে প্রথমবার ‘ফ্যাক্ট চেক’ সিল যুক্ত করে টুইটার।

বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর ব্যাপারে টুইটার সম্প্রতি যে নীতি গ্রহণ করেছে তারই অংশ হিসেবে ট্রাম্পের ওই টুইটার নিয়ে এমনটা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এর কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফের আরেকটি টুইট করে ট্রাম্প লেখেন, ‘টুইটার পুরোপুরি বাক স্বাধীনতার কণ্ঠরোধ করছে।’

ট্রাম্প টুইটারের বিরুদ্ধে আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (৩ নভেম্বর, ২০২০) হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ তুলেছে। তিনি টুইট করে জানান, ‘টুইটার বাক স্বাধীনতার কণ্ঠরোধ করছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি এটা হতে দেব না।’

এদিকে বিবিসি বলছে, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য টুইটার কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি তাদের সতর্কতার মাত্রা সংক্রান্ত নীতি হালনাগাদ করেছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দিলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বিলম্ব করেছে তারা।

আরও পড়তে পারেন  বিহারে শত শত বাদুড়ের মৃত্যু : নতুন আতঙ্ক


শর্টলিংকঃ