Site icon ইউনিভার্সাল ২৪ নিউজ

ডাকসু নির্বাচনও কলঙ্কিত করা হল : রিজভী


ইউএনভি ডেস্ক:

ডাকসু নির্বাচনকেও কলঙ্কিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতের ভোটের সংস্কৃতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বের হতে পারেনি। ডাকসু নির্বাচনও কলঙ্কিত করা হল। নাৎসিবাদী গণতন্ত্রের নানারূপ ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিফলিত হয়েছে।

রিজভী দাবি করেন, রোববার রাতেও ব্যালট বাক্স ভরা হয়েছে। যার প্রমাণ কুয়েত মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি সিল মারা ব্যালট পাওয়া। সাধারণ ছাত্রছাত্রীসহ বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সমর্থকরা যাতে ভোট দিতে না পারে সে জন্য পুলিশ অবিশ্বাস্য রকমের তৎপরতা শুরু করে। সব হলেই ছাত্রলীগ আতঙ্কজনক হারে মহড়া দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাবেক ছাত্রনেতা মনির হোসেন, রকিবুল ইসলাম বকুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, হাসান মামুন, হায়দার আলী লেলিন, আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, ওমর ফারুক সাফিন, আমিনুল ইসলাম, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ঢাবির ৪৩ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে ১৮টি হলে। সব সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র দাবি করেছিলেন, দাবি করেছিলেন ভোটের সময় বাড়ানোর। স্টিলের ব্যালট বাক্সের বদলে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স দাবি করেছিলেন, রাতের ভোটের আতঙ্কে রাতে যেন ব্যালট বাক্স না নেয়া হয় সে দাবিও প্রার্থীরা করেছিলেন। কিন্তু এসব দাবি নাকচ করা হয়েছে। ১৮টি কেন্দ্রের জন্য টেলিভিশন মাধ্যমের ৪টি ইউনিট ও প্রিন্ট মিডিয়ার ২ জনকে ঢুকতে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সংবাদ সংগ্রহে কড়াকড়ি, বিধিনিষেধ, তথ্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা।

বিএনপির এ নেতা বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কমপক্ষে ৩৫ জন নির্বাচিত হয়েছেন- যা ডাকসুর ইতিহাসে নজিরবিহীন। ছাত্রলীগের ভয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এ রকম বেশকিছু প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিরোধী মতের শিক্ষকদের ডাকসু নির্বাচনের কোনো দায়িত্বে রাখা হয়নি।

গত কয়েকদিন সাধারণ ছাত্রদের ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানগুলোতে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে, সাধারণ ছাত্রদের হুমকি দিয়ে হলগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা। মানুষের মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল- ডাকসু নির্বাচন সরকারেরই নীতি ও নীলনকশা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হচ্ছে কি না; তাদের সে আশঙ্কাই সত্যি হল।


Exit mobile version