ডেমরায় শিশু হত্যা: ময়নাতদন্তে মিললো ধর্ষণের আলামত


ইউএন ডেস্ক নিউজ:

ডেমরায় ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যার শিকার দুই শিশু।

 

রাজধানীর ডেমরায় চার বছর বয়সী দুই শিশুকে হত্যার ঘটনায় ফারিয়া আক্তারকে ধর্ষণের পরে হত্যা ও নুশরাত জাহানকে ধর্ষণের চেষ্টা করার আলামত পাওয়া গেছে ময়নাতদন্তে।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) পাঠানো ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এস এম নওশাদ হোসেন। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পুলিশও এ মামলার চার্জশিট দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসআই মো. শাহ আলম।

এসআই মো. শাহ আলম জানান, মামলাটি আগে ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় থাকলেও এখন নতুন করে আরও দুটি ধারা ৯/১ ও ৯/৪ (খ) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া চার্জশিটে মেডিকেল রিপোর্টের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

চিকিৎসক বলেন, ‘ময়নাতদন্তে দোলাকে ধর্ষণের আলাম মিলেছে এবং নুশরাতের ধর্ষণের চেষ্টার আলামত মিলেছে। এখন আসামিদের ডিএনএ টেস্টের পর জানা যাবে কে ধর্ষণ করেছে আর কে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে।’ পুলিশের কাছে গত শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেমরা জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নুশরাত ও দোলার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালতে চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া দোষীর যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

ঘটনার দিন প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে পুলিশ কেন ধর্ষণের আলামত পায়নি— জানতে চাইলে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অনেক সময় আলামত মেলে, অনেক সময় মেলে না। তবে পুলিশ চূড়ান্তভাবে আলামত পাওয়ার জন্য ময়নাতদন্তের ওপর নির্ভর করে। সেক্ষেত্রেও অনেক সময় আলামত মেলে না।’ দোলা ও নুশরাতের ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার আলামত মিলেছে বলে জানান তিনি।

গত ৭ জানুয়ারি ডেমরার একটি বাসায় খাটের নিচ থেকে নুশরাত ও দোলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গোলাম মোস্তফা ও আজিজুল বাওয়ানীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরে ৯ জানুয়ারি ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার কথা বলে শিশু নুশরাত ও দোলাকে নিজেদের ঘরে ডেকে নেয় প্রতিবেশী গোলাম মোস্তফা ও তার ভাই আজিজুল বাওয়ানী।

তারা দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে একপর্যায়ে শিশু দোলাকে গলা টিপে হত্যা করে। এরপর নুশরাতকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে শিশু দুটির লাশ ঘরটির খাটের নিচে রাখা হয়।#

সূত্র: পূর্বপশ্চিমবিডিনিউজ।


শর্টলিংকঃ