ডেস্কটপ আইটি ‘র ‘লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’


ডেস্কটপ আইটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সৃজনশীল প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগ এবং তার সময়োচিত ব্যবহারই একটি দেশ এবং জাতির আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পারে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তাঁর দিন বদলের নন্দিত সনদ “রূপকল্প ২০২১”-এ গুরুত্বের সাথে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠার এক সুচিন্তিত এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আমরা স্বপ্ন দেখি তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক বিকশিত একটি সমাজ ব্যবস্থা একদিন বাংলাদেশেও গড়ে উঠবে।

ডেস্কটপ আইটি
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের ব্যাপকতা আটকাতে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চরম অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষার্থী তথা সমগ্র দেশের ভবিষ্যৎ। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাসহ আটকে আছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কার্যক্রম। মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করলেও শিক্ষার্থীরা তাদের পরবর্তী ধাপের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে এই নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

এদিকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দিনগুলোতে আরও ভয়াবহ হতে পারে করোনার রূপ। অসুস্থ পৃথিবীতে কবে আসবে সুস্থতা-তা সম্পূর্ণ অনিশ্চিত। শিক্ষা কার্যক্রমের এই স্থবিরতা কাটাতে সমগ্র দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে, যা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তবে বর্তমান পরিস্থিতির বিচারে এটি একটি সাময়িক সমাধান হতে পারে। কিন্তু যদি করোনা পরিস্থিতি আরো দীর্ঘায়িত হয়, তবে এই ব্যবস্থাকে কখনই স্থায়ী সমাধান হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এই সংকট কালে ডেস্কটপ আইটি বাংলাদেশের সর্বপ্রথম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যারা বিশ্বের অন্যতম একটি অত্যাধুনিক লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টিম কে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে পরিচিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই সিস্টেমে রয়েছে শিক্ষার বিভিন্ন উপকরন অফলাইনে শিক্ষার্থীদের কাছ পৌঁছানোর অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।

সম্পূর্ণ কোর্সকে সিলেবাস অনুযায়ি সাজানোর জন্য কোর্স ডিজাইন অপশন। একজন শিক্ষার্থী একটি বিষয়ে কতটুকু শিখলো তা জানার জন্য রয়েছে স্মার্ট লার্নিং ট্র্যাকিং সিস্টম। একই সিস্টেমে শিক্ষকগণ হোম ওয়ার্ক প্রদান করতে পারবেন এবং শিক্ষার্থীরা তা সম্পূর্ণ করে আবার প্রেরণ করতে পারবে। অডিও, ভিডিও, টেক্সট সহ যেকোন প্রকারের ফাইল শেয়ারিং এর ব্যবস্থা রয়েছে।

বহুনির্বাচনি প্রশ্ন, ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্ন ও অ্যাসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেবার জন্য রয়েছে কুইজব্যাংক সুবিধা। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চ্যাটবক্স ও ফোরামের মাধ্যমে মত বিনিময়ের সুব্যবস্থা। এছাড়াও আছে অত্যাধুনিক ক্যালেণ্ডার এর মাধ্যমে আগামীদিনের জন্য যে কোন প্রকার ইভেন্ট সিডিউল করার ব্যবস্থা। সিস্টেমটিতে ব্যবহারকারীদের নিয়ন্ত্রণর জন্য রয়েছে অত্যাধুনিক ইউজার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। কাস্টমাইজড গ্রেডিং সিস্টেম, এবং শিক্ষার্থীদের তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে অবিহিত করার জন্য রয়েছে ফিডব্যাক টুলস।

সর্বপোরি বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে এটি একটি পরিপূর্ণ সহায়ক হিসাবে কাজ করতে পারে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো আধুনিক করার লক্ষে ডেস্কটপ আইটি বিগত ৫ বছর ধরে নিরলস পরিশ্রম করে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম গড়ড়ফষব এর উপর ভিত্তি করে এই সিস্টিমটি তৈরী করেছে।

লার্নিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম হিসাবে একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার, এর ইউজার ফ্রেন্ডলী সিস্টেম এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী এটি কাস্টমাইজ করার সুবিধা এটিকে সবার কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স, স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউইয়র্ক, মাইক্রোসফ্ট এবং ওপেন বিশ্ববিদ্যালয় সহ বিশ্বব্যাপী বড় এবং ছোট ১,৫৯,০০০ প্রতিষ্ঠান এবং ২১১,০০০,০০০ ব্যবহারকারী প্রতিনিয়ত এটি ব্যবহার করে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই ধারাবাহিকতাই রাজশাহী কলিজিয়েট স্কুলসহ রাজশাহীর আরো বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনাকালীন সময়ে এই সিস্টেমের মাধ্যমে তাদের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের কাজ শুরু করেছে।

১৯৯৫ সালে কম্পিউটার ট্রেনিং নিয়ে শুরু হয় ডেস্কটপ আইটি এর যাত্রা। ১৯৯৮ সালে ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডোমেইন, হোস্টিং ইত্যাদি নিয়েও কাজ শুরু করি। ১৯৯৯ সালে কম্পিউটার সেলস ও সার্ভিসিং সংযুক্ত করি। এরপর ২০০১ সালে আমরা রাজশাহীতে প্রথম ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সার্ভিস চালু করি। ২০০৪ সাল থেকে আমরা কর্পোরেট পর্যায়ে আইটি কনসালটেন্সি, সার্ভার ইন্সটলেশান, ল্যান ও ওয়ান নেটওয়ার্কিং, সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা, আইপি পিবিএক্স এবং স্পেশালাইজড ট্রেনিং নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

আমরা এ্যাকসেস কন্ট্রোল ও সিকিউরিটি ডিভাইস এবং অফিস ও বাসা স্মার্ট অটোমেশন নিয়ে কাজ করছি। বারকোড ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রিন্ট করি। আর্কাইভস ও ডিজিটাল আর্কাইভস নিয়ে আমরা কাজ করে আসছি ২০০৭ সাল থেকে। আমাদের রয়েছে পাবলিকেশন, আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্মরণিকা প্রকাশ করি। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামের পর ভারতের কলকাতায় এবং আমেরিকাতেও আমাদের অফিস রয়েছে, প্রায় ১০টি দেশে আমাদের সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে এবং আউটসোর্সিং সার্ভিস দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি।

আরও পড়তে পারেন  প্যানিক অ্যাটাক কী?


শর্টলিংকঃ