ঢাকা কলেজ ছেড়ে কুষ্টিয়ায় আসবেন আবরারের ছোট ভাই


বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ ঢাকা কলেজ ছাড়লেন। ছাড়পত্র নিয়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার দুপুর ১টায় ঢাকা কলেজে আসেন আবরার ফাইয়াজ। এ সময় তার স্বজনরা সাথে ছিলেন।

আবরার ফাইয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বড় ভাইয়ের এমন মৃত্যুতে পুরো পরিবার মুষড়ে পড়েছে। বাবা-মা চান না আমি তাদের ছেড়ে থাকি। তাই ঢাকা কলেজ ছাড়লাম। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’

আবরার ফাইয়াজ ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। এখান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হবেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, ‘আবরার ফাইয়াজের ঢাকা কলেজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত একান্তই তাদের পারিবারিক। আমি সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছিলাম। তারপরও তাদের এবং প্রশাসনের ইচ্ছায় তার কলেজ বদলির ব্যাপারে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।’

আবরার ফাইয়াজের ছাড়পত্রের ব্যাপারে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কলেজ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, আবরারের ছোট ভাই কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে পড়তে চান। বিশেষ ব্যবস্থায় আজ ছাড়পত্রের আবেদন করেন তিনি। তার ছাড়পত্র মঞ্জুর করা হয়েছে।

ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে আবরার ফাইয়াজ

এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে আবরারের বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে আবরার হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।


শর্টলিংকঃ